দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্জনে বিএনপির আহ্বানের সঙ্গে চলমান নাশকতার কোনো যোগসূত্র আছে কি না তা তদন্ত করে দেখতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
শনিবার সকালে নোয়াখালী-৫ (কোম্পানীগঞ্জ-কবিরহাট) নির্বাচনি এলাকায় সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি এ কথা বলেন।
গুজব ও অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হয়ে নির্ভয়ে ভোটকেন্দ্রে যেতে ভোটারদের প্রতি আহ্বানও জানান আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।
তিনি বলেন, ‘আমরা গভীর ক্ষোভ ও উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি যে রোববারের ভোটগ্রহণ সামনে রেখে বিএনপি ও তাদের মিত্ররা নাশকতা, অগ্নিসংযোগসহ ব্যাপক সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড শুরু করেছে।’
ঢাকায় বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে অগ্নিসংযোগের ঘটনার নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াত দেশকে ধ্বংস করতে চায়। তারা একাত্তরের পরাজিত শক্তি এবং ১৯৭৫ সালের খুনি। তারা মানুষকে পুড়িয়ে রাজনীতি করতে চায়।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপি নির্বাচন বর্জনের ডাক দিয়েছে এবং প্রতিনিয়ত নির্বাচনবিরোধী অপপ্রচার চালাচ্ছে। তবে বাংলাদেশ কখনও কোনো অশুভ শক্তির কাছে মাথানত করেনি এবং ভবিষ্যতেও করবে না।’
বিদেশি পর্যবেক্ষক ও সাংবাদিকদের উদ্দেশ করে তিনি বলেন, ‘নির্বাচন বর্জনকারী অশুভ শক্তির সন্ত্রাসী চরিত্রের প্রমাণ আপনারা দেখতে পাচ্ছেন। তারা বাস ও ট্রেনে আগুন ধরিয়ে দিচ্ছে। আমরা বাংলাদেশের জনগণ এই সন্ত্রাসীদের চরিত্র জানি।’
বিএনপি যাতে নাশকতা চালাতে না পারে সেজন্য আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের সজাগ থাকার আহ্বান জানান ওবায়দুল কাদের।
আওয়ামী লীগ জনগণের ভোটের মাধ্যমে আবারও সরকার গঠন করবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু-কন্যা শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেশকে আবারও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার পথে নিয়ে যাবেন।’
আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, ‘নির্বাচনের পরও বিএনপি-জামায়াত নাশকতা চালিয়ে যেতে পারে এবং তাদের কঠোর জবাব দিতে হবে। আমরা বিএনপিকে সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালাতে দেব না। আমরা জানি কিভাবে কঠোর হতে হয়। সময়মতো সব ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হবে।’