বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আগুন দেয়া অমার্জনীয় অপরাধ: সিইসি

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ৬ জানুয়ারি, ২০২৪ ১৮:০২

আগুন লাগার ঘটনা কতটা নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন, এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, ‘কতটা নিয়ন্ত্রণ করতে পারব সেটা ভবিষ্যৎ বলবে। সর্বাত্মক চেষ্টা হচ্ছে। তবে কোনো একটা বিরোধী পক্ষ ভোট বর্জনের পাশাপাশি প্রতিহত করার চেষ্টা করছে। এতে নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে উঠিয়ে আনা কঠিন হবে। আশা করি ভোটাররা আসবে।’

বিভিন্ন জায়গায় আগুন দেয়া দেখে নির্বাচন কমিশন (ইসি) দুঃখ ভারাক্রান্ত জানিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, কোনো দল এটি করে থাকলে তা অমার্জনীয় অপরাধ।

সংসদ নির্বাচনের আগের দিন শনিবার বিকেলে আগারগাঁওয়ে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলনকেন্দ্রে ‘মিট দি প্রেস’ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

রাজধানীর গোপীবাগে বেনাপোল এক্সপ্রেসে শুক্রবার রাতে ট্রেনে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় পাঁচজন প্রাণ হারান।

আগুনে নারী ও শিশুসহ আটজনকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে, যাদের সবার শ্বাসনালি পুড়ে গেছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।

ওই ঘটনার এক দিন পর সিইসি বলেন, ‘বিভিন্ন জায়গায় আগুন দেয়া দেখে আমরাও দুঃখ ভারাক্রান্ত। কোনো দল যদি এটি করে থাকে, এটি অমার্জনীয় অপরাধ বলে আমি মনে করি।’

বিভিন্ন স্থানে অগ্নিসংযোগ নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করে সিইসি বলেন, ‘ট্রেনে আগুন দিয়েছে। ভোটকেন্দ্রেও আগুন দেয়ার চেষ্টা হচ্ছে। যারা হরতাল দিয়েছে, তারাও বলেছিল শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করবে। কিন্তু সেটা হচ্ছে না। আমরা বিশ্বাস করেছিলাম তারা শান্তিপূর্ণভাবে ভোটারদের ভোটবিরোধী প্রচারণা চালাবে।’

এসব আগুন লাগার ঘটনা কতটা নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন- এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, ‘কতটা নিয়ন্ত্রণ করতে পারব সেটা ভবিষ্যৎ বলবে। সর্বাত্মক চেষ্টা হচ্ছে। তবে কোনো একটা বিরোধী পক্ষ ভোট বর্জনের পাশাপাশি প্রতিহত করার চেষ্টা করছে।

‘এতে নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে উঠিয়ে আনা কঠিন হবে। আশা করি ভোটাররা আসবে। আরও ৪৮ ঘণ্টা অপেক্ষা করুন। সেটা হয়তো দেখতে পারবেন।’

যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতির বিষয়ে জাপানি এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটির প্রধান বলেন, ‘এটা কমিশনের দায়িত্ব নয়, কে অংশ নেবে আর কে অংশ নেবে না। কমিশন সবাইকে আহ্বান জানাবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার জন্য।

‘নির্বাচন হতে হবে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য। তারা (যুক্তরাষ্ট্র) অবাধ, সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য নির্বাচনে বিশ্বাস করে। যারা এ ক্ষেত্রে বাধা দেবে, তাদের ওপর এই নীতি প্রয়োগ করবে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করছি না। আমরা জানি না কারা আগুন দিচ্ছে; কারা মানুষকে হত্যা করছে। আমরা আমাদের জায়গায় থেকে অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচনের চেষ্টা করছি।

‘ভিসা নীতি নিয়ে আমরা চিন্তিত নই। কারণ এটা আমাদের বিষয় নয়। ভিসা কী, পাসপোর্ট কী, অর্থনীতি কী, তা আমি বুঝি না। এটা বোঝে পররাষ্ট্র দপ্তর।’

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর বিরোধী দল কে হবে, তা জানতে চাওয়া নিয়ে ইসি বিব্রত কি না, সে বিষয়ে সিইসি বলেন, ‘এটা আমাদের বিষয় নয়। যারা নির্বাচিত হবে, তারাই সংসদে সিদ্ধান্ত নেবে কারা বিরোধী দল হবে। আমরা এ জন্য মোটেই বিব্রত নই।’

নির্বাচন পর্যবেক্ষণ নিয়ে সিইসি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন হচ্ছে নির্বাচন ব্যবস্থাপনা বডি। আমি বলতে চাই, আমরা বিশ্বাস করি গ্রহণযোগ্য, অংশগ্রহণমূলক এবং স্বচ্ছতামূলক নির্বাচন। স্থানীয়ভাবেই কেবল নয়, আন্তর্জাতিকভাবে পর্যবেক্ষণ হোক, সেটা আমরা চাই।’

দেশি-বিদেশি সাংবাদিক ও পর্যবেক্ষকদের সামনে নির্বাচনের সার্বিক পরিস্থিতি তুলে ধরতে মিট দি প্রেস অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ইসি। এতে অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার, সচিবসহ বিভিন্ন দেশ থেকে আসা সাংবাদিক ও পর্যবেক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন।

এ বিভাগের আরো খবর