বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ভোটের মাঠে আবারও সেই ‘সিল আজাদ’

  • প্রতিনিধি, লক্ষ্মীপুর   
  • ৬ জানুয়ারি, ২০২৪ ১৮:০০

লক্ষ্মীপুর-৩ (সদর) আসনের গত উপ-নির্বাচনে প্রকাশ্যে ৫৭ সেকেন্ডে ৪৩ ভোট দিয়ে বিশ্বজুড়ে সমালোচিত হন চন্দ্রগঞ্জ থানা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি আজাদ হোসেন। এ ঘটনায় তিনি ‘সিল আজাদ’ নামে পরিচিত পান। ভোটের আগে জামিনে জেল থেকে বেরিয়ে আবারও নৌকার প্রার্থীর পক্ষে তাকে নির্বাচনি প্রচারে অংশ নিতে দেখে এ আসনে সুষ্ঠু ভোট হওয়া নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন অন্য প্রার্থীরা।

লক্ষ্মীপুর-৩ (সদর) আসনের গত উপ-নির্বাচনে প্রকাশ্যে ৫৭ সেকেন্ডে ৪৩ ব্যালটে সিল মারা সেই ‘সিল আজাদ’ আবারও নৌকার প্রার্থীর পক্ষে প্রচার চালাচ্ছেন। গত শুক্রবার থেকে দীঘলি ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ডে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী গোলাম ফারুক পিংকুর লিফলেট বিতরণ, পোস্টার টাঙ্গানো, মাইকিং, গণসংযোগসহ বিভিন্ন কাজে তার উপস্থিতি দেখা যাচ্ছে। এতে সুষ্ঠু ভোট নিয়ে শঙ্কায় পড়েছেন প্রার্থীরা।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, চন্দ্রগঞ্জ থানা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি আজাদ হোসেনের বিরুদ্ধে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ শফিকুর রহমানের করা মামলায় দীর্ঘদিন কারাগারে থেকে সম্প্রতি জামিনে বের হয় আজাদ। রোববার দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আবারও নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর হয়ে নির্বাচনি এলাকায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন তিনি। আজাদকে ফের নির্বাচনি প্রচারে দেখে ভোটারদের অনেকের মধ্যে অনীহা দেখা দিয়েছে।

স্থানীয় ভোটাররা বক্তব্য, ‘আজাদ থাকলে ভোটের অভাব হবে না। সে একাই সব ভোট দিয়ে দেবে। কষ্ট করে আমাদের ভোটকেন্দ্রে যাওয়া লাগবে না। সে ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কৃত হলেও ছাত্রলীগের নেতাদের সঙ্গে তার সখ্যতা রয়েছে। তাই দিঘলীতে সুষ্ঠ ভোট আশা করা যাবে না।’

তবে ভোটারদের অভিযোগ অস্বীকার করে চন্দ্রগঞ্জ থানা ছাত্রলীগের সভাপতি আবু তালেব বলেন, ‘আজাদ ছাত্রলীগের কেউ নয়। একাধিক অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। সে ছাত্রলীগকে কলঙ্কিত করেছে। তার সঙ্গে ছাত্রলীগের কোনো নেতা-কর্মীর সম্পর্ক নেই।’

এ বিষয়ে লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী মোহাম্মদ রাকিব হোসেন বলেন, ‘আজাদের মতো ছেলেরা যখন কোনো প্রার্থীর হয়ে ভোট করে, সেখানে সুষ্ঠু নির্বাচন আশা করা যায় না। গত উপ-নির্বাচনে সে ৫৭ সেকেন্ডে ৪৩ ভোট দিয়ে বহির্বিশ্বের কাছে বাংলাদেশকে কলঙ্কিত করেছে। এবারও সে নৌকার প্রার্থীর হয়ে ভোট করছে। এসব কারণে আমি ইতোমধ্যে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছি।’

স্বতন্ত্র প্রার্থী এম. এ. সাত্তার বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের প্রতি বিশ্বাস আছে বলেই নির্বাচনি মাঠে এখনও আছি। আমি আশাবাদী, গত উপ-নির্বাচনের মতো ন্যক্কারজনক কোনো ঘটনা এবার ঘটবে না।’

দিঘলী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং নৌকা প্রতীকের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক আব্দুল ওয়াদুদ লিটন বলেন, ‘আজাদ নৌকা প্রতীকের প্রচারণা করছে, কিন্তু তাকে কোনো দায়-দায়িত্ব দেয়া হয় নাই। আজাদের নির্বাচনি প্রচার ভোটের মাঠে কোনো ধরনের প্রভাব ফেলবে না। সুষ্ঠু ভোট হবে, এতে শঙ্কা নেই।’

এ ব্যাপারে জানতে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী গোলাম ফারুক পিংকুর মোবাইল নম্বরে একাধিকবার কল দিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি।

এ বিভাগের আরো খবর