রাজধানীর গোলাপবাগে বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে আগুনের ঘটনায় নারী ও শিশুসহ ৮ জন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।
দগ্ধরা হলেন- ৩০ বছর বয়সী আসিফ মোহাম্মদ খান, ৩২ বছর বয়সী ডা. কৌশিক বিশ্বাস, ২২ বছর বয়সী নাফিস আলম, ৩১ বছর বয়সী মাসুদ রানা, ৪০ বছর বয়সী ডেইজি আক্তার রত্না, ৬ বছরের শিশু রিহান, ১১ বছরের দিহান এবং ৪৮ বছর বয়সী মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন।
মঙ্গলবার দুপুরে শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটটের সমন্বয়ক ডাক্তার সামন্ত লাল সেন বলেন, ‘দগ্ধদের বার্নের (পোড়া) পরিমাণ কম। অনেকের বাইরে কোনো বার্নই হয়নি। তবে সবচেয়ে বিপজ্জনক হলো, তাদের সবারই শ্বাসনালি পুড়ে গেছে। আমরা দেখতে পেলাম, তাদের অনেকের ভেতরে অসুবিধা আছে, ম্যানেজ করতে সময় লাগবে। এখনই তাদের শঙ্কামুক্ত বলা যাচ্ছে না।’
বার্ন ইনস্টিটিউটের সমন্বয়ক বলেন, ‘আরেকটা কথা, যখনই তারা ভালো হয়ে যাবে তাদের যে মেন্টাল ট্রমা, আমি দেখলাম একটা বাচ্চা ভয় পাচ্ছে; চিৎকার শুনে ভয় পায়। রোগীরা ভীষণ আতঙ্কিত। এ আতঙ্ক যে কবে কাটবে- এটা বলা যায় না। এটার দীর্ঘমেয়াদী চিকিৎসার দরকার।’
আট রোগীর মধ্যে তিনজনকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রাখা হয়েছে বলে জানান তিনি। তারা হলেন- আসিফ মোহাম্মদ খান, নাফিস আলম ও ডা. কৌশিক বিশ্বাস।
এর আগে রাজধানীর গোপীবাগে বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় পাঁচজন নিহত হন। শুক্রবার রাত ৯টা ৫ মিনিটে বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনের চারটি বগিতে আগুন ধরিয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা। ঢাকাগামী ট্রেনটির তিনটি বগি পুরোপুরি পুড়ে গেছে।