রাজধানীর গোপীবাগে বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে অগ্নিসংযোগের ঘটনাটি নাশকতা কি না, তা নিয়ে র্যাবের গোয়েন্দারা তদন্তে নেমেছে বলে জানিয়েছেন এলিট ফোর্সের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন ঘিরে বিএনপির ডাকা ৪৮ ঘণ্টার হরতাল শুরুর আগের রাতে শুক্রবার রাত ৯টা ৫ মিনিটে ট্রেনটিতে আগুন দেয়ার ঘটনা ঘটে।
যাত্রী বোঝাই ট্রেনটিতে অগ্নিকাণ্ডের ফলে এখন পর্যন্ত পাঁচজন নিহত হওয়ার কথা জানিয়েছেন র্যাবের এ কর্মকর্তা।
তিনি বলেন, ‘ট্রেনটি বেনাপোল থেকে (ঢাকার উদ্দেশে) আসছিল। সোয়া নয়টার দিকে আমরা (আগুন লাগার ঘটনাটি) জানতে পারি। এই আগুন দুর্বৃত্তরা দিয়েছে, নাকি নাশকতাকারীরা বা অন্য কেউ দিয়েছে, তা নিয়ে আমাদের গোয়েন্দারা মাঠে নেমেছে।’
খনদকার আল মঈন বলেন, ‘স্বেচ্ছাসেবক ও প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তাদের নিয়ে আমরা প্রথমে চারটি মরদেহ উদ্ধার করি। পরে আরও একটি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এখন আমাদের মূল উদ্দেশ্য ভেতরে যারা আছেন, তাদের অক্ষত অবস্থায় বের করে আনা।
‘ট্রেনের চালক ও যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে আমরা আগুন লাগার কারণ সম্পর্কে ধারণা করার চেষ্টা করছি।’
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ধীর গতিতে চলন্ত অবস্থায়ই ট্রেনটিতে আগুন দেয়ার ঘটনা ঘটে। রাত ৯টার পর ট্রেনের একটি বগিতে প্রথম আগুন জ্বলতে দেখা যায়। এরপর একে একে চারটি বগিতে আগুন ছড়িয়ে পড়ে।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষের এক কর্মকর্তা জানান, ফায়ার সার্ভিসের সাতটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। রাত ১০টা ২২ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
আগুন নেভানোর পর পুড়ে যাওয়া বগিগুলোতে তল্লাশি চালান ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকর্মীরা। তারা পুড়ে যাওয়া বগিগুলোর ভেতর থেকে একে একে চারটি মরদেহ উদ্ধার করেন। বগিগুলোর ভেতরে আরও মরদেহ থাকতে পারে বলে আশঙ্কা করছে ফায়ার সার্ভিস।
জানা গেছে, নিহত পাঁচজনের মধ্যে দুটি শিশু রয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে তাদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
এদিকে, গোপীবাগে বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আগুন নেভাতে সাহায্য করা ও নিরাপত্তা জোরদার করতে চার প্লাটুন আনসার মোতায়েন করা হয়েছে।