জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী ডা. মুরাদ হাসান এমপি ও নৌকার প্রার্থী মাহবুবুর রহমান হেলালের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।
উপজেলার বাসস্ট্যান্ড এলাকায় বৃহস্পতিবার রাতে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, নৌকার প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার মাহবুবুর রহমান হেলালের ছোট ভাই মঞ্জুরুল ইসলাম বিদ্যুতের নেতৃত্বে নৌকার সমর্থকরা প্রচার মিছিল নিয়ে উপজেলার শিমলা বাজারে বাসস্ট্যান্ড এলাকায় যায় ও স্বতন্ত্র প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য ডা. মুরাদ হাসানের ঈগল প্রতীকের নির্বাচনি প্রচার কেন্দ্রের সামনে গিয়ে স্লোগান দেয়।
ওই সময় ঈগল ও নৌকার প্রতীকের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন ঈগলের সমর্থক পৌর কাউন্সিলর সাখাওয়াতুল আলম মুকুল, মাইজবাড়ী এলাকার দিলখুশ, শিমলাপল্লী এলাকার রিপন, শিমলা বাসস্ট্যান্ড ছোটন, শুয়াকৈর এলাকার সজিব মিয়া, কামরাবাদ এলাকার বেলালের স্ত্রী সানজিদা।
এ ছাড়া আহত হয়েছেন নৌকার সমর্থক বড়বাড়িয়া গ্রামের মোতালেব, সোনাকান্দর এলাকার বিপ্লব, চর বড়বাড়িয়া গ্রামের রুবেল, একই এলাকার শান্ত।
সরেজমিনে দেয়া যায়, ঘটনার প্রতিবাদে রাতে ডা. মুরাদের সমর্থকরা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
পৌর কাউন্সিলর সাখাওয়াতুল আলম মুকুলের অভিযোগ, ‘আমাদের নির্বাচনি ক্যাম্পের সামনে রাস্তায় নৌকার মিছিল দেখে আমি কর্মীদের ভেতরে সরিয়ে দিয়ে চায়ের দোকানের পাশে দাঁড়িয়ে ছিলাম। এমন সময় নৌকার প্রার্থীর ভাই মঞ্জুরুল ইসলাম বিদ্যুৎ, মির্জাল, নুরুল, জহুরুলসহ কয়েকজন আমাকে টেনে রাস্তায় নিয়ে আসেন এবং হামলা করে আহত করেন। আমাকে বাঁচাতে গিয়ে বেশ কয়েকজন কর্মী-সমর্থক আহত হয়েছেন।’
এ বিষয়ে জানতে নৌকার প্রার্থী মাহবুবুর রহমান হেলালের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি।
সরিষাবাড়ী থানার ওসি মুশফিকুর রহমান জানান, সংবাদ পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে গিয়ে দুই পক্ষকে সরিয়ে দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।