৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৫ শতাংশ ভোট পড়বে কি না- তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান। তিনি বলেছেন, ‘বিএনপির পাশাপাশি আওয়ামী লীগের লোকজনও ভোট দিতে যাবে না। কারণ, তারা জানে, দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার মাধ্যমে তাদের প্রার্থী ইতোমধ্যে জয়লাভ করে ফেলেছে।’
বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
৭ জানুয়ারির নির্বাচন বর্জনের আহ্বান জানিয়ে এই সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল।
সভায় মঈন খান বলেন, ‘আমি স্পষ্টভাষায় বলে দিচ্ছি, সরকার ভাবছে ৭ জানুয়ারি বিজয় হবে। বাস্তবতা হচ্ছে, আগামী ৭ জানুয়ারি বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের চরম পরাজয় সংঘটিত হবে।
‘আজকে আওয়ামী লীগ, যারা নিজেদের স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি বলে দাবি করে, তারা যদি ভুল পথে হাঁটতে থাকে, তাহলে আওয়ামী লীগ ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হবে। আপনারা এই কঠিন সত্যটি উপলব্ধি করুন।’
নির্বাচনের দুদিন আগে সরকারকে সবকিছু নিয়ে ফের চিন্তাভাবনার আহ্বান জানিয়ে সংসদ ভেঙে দিয়ে নির্বাচনি তফসিল বাতিলের আহ্বান জানান তিনি। বলেন, ‘বুলেট দিয়ে, গ্রেনেড দিয়ে, টিয়ারগ্যাস দিয়ে বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষকে পদানত করা যাবে না। কাজেই আপনারা আলোচনার পথে আসুন, শান্তির পথে আসুন।’
এ সময় ‘দেশের উদারনৈতিক, গণতান্ত্রিক, শান্তিপূর্ণ রাজনীতিতে বিশ্বাসী দলগুলোই নির্বাচন বয়কট করেছে’ দাবি করেন মঈন খান।
ক্ষমতাসীনদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘মানুষের মতামতকে শ্রদ্ধা করতে শিখুন, মানুষের যদি ইচ্ছার বহিঃপ্রকাশ না ঘটে, আপনারা বন্দুকের নলের ক্ষমতার জোরে রাষ্ট্রযন্ত্র আঁকড়ে ধরে থাকেন, সেটা হয়তো আপনারা করতে পারবেন, কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ কোনোদিন আপনাদেরকে অন্তর থেকে স্বীকার করে নেবে না। এই সরকারকে বিদায় দেবার জন্য আন্দোলন করে যাব; যে আন্দোলন হবে সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ, নিয়মতান্ত্রিক এবং গণতান্ত্রিক।’
সরকারের উদ্দেশে সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, ‘অন্যায় করে কিছুদিন ক্ষমতায় থাকা যেতে পারে, কিন্তু ইতিহাস আমাদেরকে শিক্ষা দিয়েছে- আজকে হোক, কালকে হোক, এই সরকারকে বিদায় নিয়ে জনগণের ইচ্ছার কাছে মাথানত করে তাদেরকে পরাজয় স্বীকার করতেই হবে।’
সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের নেতা রিয়াজুল ইসলাম রিজুর সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব কাদের গণি চৌধুরীর সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন রুহুল আমিন গাজী, অধ্যাপক দিলারা চৌধুরী, অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুস, অধ্যাপক এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, অধ্যাপক লুতফর রহমান, অধ্যাপক শামসুল আলম, অধ্যাপক এমতাজ হোসেন, অ্যাডভোকেট আবেদ রাজা, মোস্তাফিজুর রহমান, সাংস্কৃতিক কর্মী রফিকুল ইসলাম, ফিজিওথেরাটিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের তানভীরুল আলম, নার্সেস অ্যাসোসিয়েশনের জাহানারা বেগম, টেক্সটাইল অ্যাসোসিয়েশনের সাখাওয়াত হোসেন, ডিপ্লোমা এগ্রিচালচারিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের জিয়াউল হায়দার পলাশ, শিক্ষক-কর্মচারি ঐক্যজোটের মাওলানা দেলোয়ার হোসেন, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাঈদ খান, এম-ট্যাবের দবির উদ্দিন তুষারসহ আরও অনেকে।