বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সিলেটে প্রতীক পেয়েও মাঠে নেই বেশিরভাগ প্রার্থী

  •    
  • ৪ জানুয়ারি, ২০২৪ ১৮:২৬

ভোটে মানুষের আগ্রহ বাড়াতে এবার দলীয় মনোনয়নবঞ্চিত নেতাদেরও প্রার্থী হতে উৎসাহিত করে আওয়ামী লীগ। এ ছাড়া ছোট ছোট বিভিন্ন দলকেও ভোটে আনা হয়। তবে ছোট দলগুলো বিভিন্ন আসনে প্রার্থী দিলেও প্রতীক পাওয়ার পর থেকেই তারা মাঠছাড়া। ফলে আরও মিইয়ে এসেছে ভোটের আমেজ। এর মধ্যে জাতীয় পার্টির প্রার্থীরাও নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিচ্ছেন।

দরজায় কড়া নাড়ছে দ্বদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। নির্বাচনে সিলেট জেলার ৬টি আসনে এবার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মোট ৩৬ জন প্রার্থী। এদের মধ্যে প্রায় ২০ জনই ভোটের কোনো প্রচারে নেই; নেই তাদের পোস্টারিং, মাইকিং, এমনকি গণসংযোগও।

গত ১৮ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্ধের পর কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে ভোটের প্রচারে নামেন প্রার্থীরা, যা শেষ হচ্ছে শুক্রবার সকালে। তবে এই সময়ে সিলেটের বেশিরভাগ প্রার্থীকে নির্বাচনি প্রচারে দেখা যায়নি। ভোটে প্রার্থী হলেও প্রচারের পুরোটা সময় ধরে নীরব রয়েছেন তারা।

এবারের নির্বাচনে বিএনপিসহ তাদের সমমনা কয়েকটি দল এবং বামপন্থি বেশিরভাগ দল অংশ নিচ্ছে না। ফলে শুরু থেকেই নির্বাচন নিয়ে মানুষের আগ্রহ অনেকটা কম। ভোটে মানুষের আগ্রহ বাড়াতে এবার দলীয় মনোনয়নবঞ্চিত নেতাদেরও প্রার্থী হতে উৎসাহিত করে আওয়ামী লীগ। এ ছাড়া ছোট ছোট বিভিন্ন দলকেও ভোটে আনা হয়। তবে ছোট দলগুলো বিভিন্ন আসনে প্রার্থী দিলেও প্রতীক পাওয়ার পর থেকেই তারা মাঠছাড়া। ফলে আরও মিইয়ে এসেছে ভোটের আমেজ। এর মধ্যে জাতীয় পার্টির প্রার্থীরাও নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিচ্ছেন।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যাচাই বাছাই শেষে জেলার ছয়টি আসনে ৩৩ প্রার্থী ভোটযুদ্ধ শুরু করার অনুমতি পান। পরে আপিলে প্রার্থিতা ফেরে আরও তিনজনের। এ নিয়ে সিলেটের আসনগুলোতে লড়ছেন মোট ৩৬ প্রার্থী। তাদের মধ্যে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ছয়জন, জাতীয় পার্টির চারজন, তৃণমূল বিএনপির পাঁচজন, ইসলামী ঐক্যজোটের (আইওজে) চারজন, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) তিনজন, বাংলাদেশ কংগ্রেসের তিনজন, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের দুজন, গণফোরামের একজন, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের একজন, বাংলাদেশ মুসলিম লীগের (বিএমএল) একজন এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী রয়েছেন ছয়জন।

সিলেটের নির্বাচনি এলাকাগুলো ঘুরে ৩৩ প্রার্থীর মধ্য অন্তত ২০ প্রার্থী কোনো প্রচার দেখা যায়নি। প্রার্থীদের মধ্যে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি ও আওয়ামী লীগ দলীয় স্বতন্ত্র প্রার্থী ছাড়া বাকিদের তেমন কোনো প্রচার নেই বললেই চলে। ভোটে এসেও প্রচারে নিষ্ক্রিয় রয়েছেন তারা। অবশ্য ব্যতিক্রমও আছেন কেউ কেউ।

সিলেট-৫ আসন ধর্মভিত্তিক সংগঠন আঞ্জুমানে আল ইসলাহর প্রার্থী মাওলানা হুছামুদ্দীন চৌধুরী এবং সিলেট-৬ আসনে তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী শমসের মবিন চৌধুরী প্রচারে সরব রয়েছেন শুরু থেকে। ভোটের মাঠে তারা আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের সঙ্গে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

সিলেট-১

প্রার্থীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি নিষ্ক্রিয় সিলেট-১ আসনের (সিটি করপোরেশন-সদর) প্রার্থীরা। ফলে এখানে ভোটের আমেজও সবচেয়ে কম। এ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের পাশাপাশি প্রার্থী হয়েছেন ৪ দলের চারজন। তারা হলেন- সম্মিলিত সাংস্কৃতিক মুক্তি জোটের প্রার্থী আব্দুল বাসিত (ছড়ি), ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) প্রার্থী ইউসুফ আহমদ (আম), ইসলামী ঐক্যজোটের প্রার্থী ফয়জুল হক (মিনার) এবং বাংলাদেশ কংগ্রেসের প্রার্থী মো. সোহেল আহমদ চৌধুরী (প্রতীক)।

এ আসনে মোমেন ছাড়া আর কেউ প্রচারে তেমন সরব নয়। শেষ সময়ে এসে ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) প্রার্থী ইউসুফ আহমদ কিছুটা পোস্টারিং ও লিফলেট বিতরণে তৎপর হয়েছেন। তবে বাকি প্রার্থীরা যেন গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন।

সিলেট-১ আসনে ইসলামী ঐক্যজোটের প্রার্থী ফয়জুল হক বলেন, ‘পোস্টারিং না করলেও আমি প্রচারে তৎপর রয়েছি। মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট চাচ্ছি।’

সিলেট-২

সিলেট-২ (বিশ্বনাথ-ওসমানীনগর) আসনে গণফোরামের প্রার্থী বর্তমান এমপি মোকাব্বির খান, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির মো. মনোয়ার হোসাইন, তৃণমূল বিএনপির মোহাম্মদ আব্দুর রব ও বাংলাদেশ কংগ্রেসের মো. জহিরের কোনো নির্বাচনি প্রচার দেখা যাচ্ছে না।

তবে মোকাব্বির খানের দাবি, তিনি প্রচারে তৎপর রয়েছেন। প্রতিটি এলাকা চষে বেড়াচ্ছেন।

সিলেট-৩

সিলেট-৩ (দক্ষিণ সুরমা-বালাগঞ্জ-ওসমানীনগর) আসনে ন্যাশনাল পিপলস পার্টির আনোয়ার হোসেন আফরোজ, বাংলাদেশ ইসলামী ঐক্যফ্রন্টের শেখ জাহেদুর রহমান মাসুম, ইসলামী ঐক্যজোটের (আইওজে) মো. মইনুল ইসলাম নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

তবে মাঠে দেখা মিলছে না কারও।

সিলেট-৪

সিলেট-৪ (জৈন্তাপুর-গোয়াইনঘাট-কোম্পানীগঞ্জ) আসনে ইসলামী ঐক্যজোটের মো. নাজিম উদ্দিন কামরান এবং তৃণমূল বিএনপির মো. আবুল হোসেন প্রচারে নিষ্ক্রিয় রয়েছেন।

সিলেট-৫

সিলেট-৫ (কানাইঘাট-জকিগঞ্জ) আসনে তৃণমূল বিএনপির কুতুব উদ্দীন আহমদ শিকদারকে ভোটের প্রচারে দেখা যাচ্ছে না। এ ছাড়া বাংলাদেশ কংগ্রেসের মো. বদরুল আলম এবং বাংলাদেশ মুসলিম লীগের (বিএমএল) মো. খায়রুল ইসলামেরও কোনো পোস্টার এলাকায় দেখা যায়নি।

সিলেট-৬

সিলেট-৬ আসনে ৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও প্রচারে সক্রিয় রয়েছেন কেবল সোনালী আঁশ প্রতীকের প্রার্থী শমসের মবিন চৌধুরী, নৌকার প্রার্থী সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ এবং আওয়ামী লীগের মনোনয়নবঞ্চিত স্বতন্ত্র প্রার্থী সরওয়ার আহমদ।

এ আসনে আরও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন জাতীয় পার্টির প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য সেলিম উদ্দিন (লাঙ্গল), বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের প্রার্থী আতাউর রহমান আতা (ছড়ি) ও ইসলামী ঐক্যজোটের প্রার্থী সাদিকুর রহমান (মিনার)। অথচ নির্বাচন নিয়ে এই তিনজনের তেমন তৎপরতা লক্ষ্য করা যায়নি।

পুরো জেলাজুড়ে ভোটে প্রার্থীদের এমন অনাগ্রহের বিষয়ে জানতে চাইলে সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সিলেট সভাপতি ফারুক মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘যারা এবার প্রার্থী হয়েছেন তাদের অনেককে নির্বাচন প্রাতদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ দেখাতে চাপ বা প্রলোভন দিয়ে প্রার্থী করা হয়েছে। ফলে ভোট নিয়ে তাদের তেমন আগ্রহ নেই। প্রার্থী হয়েই তাদের দায়িত্ব শেষ মনে করছেন। আবার ভোটের পরিবেশ দেখেও অনেকে প্রচার থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিতে পারেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘একে তো বড় কয়েকটি দল ভোটে আসেনি, তার ওপর অনেক প্রার্থী নীরব থাকায় এবার ভোটের আমেজ অনেক কম। এটা ভোটার উপস্থিতিতেও প্রভাব ফেলবে।’

এ বিভাগের আরো খবর