দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রচারে নারায়ণগঞ্জে জনসভা মঞ্চে পৌঁছেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৃহস্পতিবার বেলা ৩টা ১৫ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী সভাস্থলে আসেন।
এর পরপরই বক্তব্য শুরু করেন আওয়ামী লীগের সাধরাণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এর আগে, বক্তব্য দেন দলের কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা।
এর আগে, প্রধানমন্ত্রীর আগমন ঘিরে পুরো জেলা জুড়ে সাজ সাজ রব বিরাজ করেছে। দলীয় প্রধানকে বরণে ব্যাপক প্রস্তুতি নেন আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা, উচ্ছ্বসিত সাধারণ মানুষও। একই সঙ্গে প্রশাসনিক পর্যায়েও নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়। নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলা হয় পুরো এলাকা।
সভার আয়োজক ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দীর্ঘ ১৫ বছর পর ৪ জানুয়ারি নারায়ণগঞ্জে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। তিনি দুপুর ২টায় শহরের ইসদাইর এলাকায় এ কে এম শামসুজ্জোহা ক্রীড়া কমপ্লেক্স মাঠে নির্বাচনি জনসভায় ভাষণ দেবেন।
প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে শহরের বিভিন্ন স্থানে শোভা পাচ্ছে ব্যানার-ফেস্টুন। বৃহস্পতিবার সকাল নয়টা থেকে জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে মিছিল আসতে শুরু করে। প্রধানমন্ত্রী নারায়ণগঞ্জের উদ্দেশে কী বলবেন তা জানার জন্য মানুষ অতি আগ্রহে আছেন বলেও জানান স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা।
নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর আসা উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জে নতুন জোয়ার সৃষ্টি হবে। দলীয় সভাপতির আগমনে জেলায় আওয়ামী লীগের প্রতিটি স্তরে নতুন করে উৎসাহের সৃষ্টি হবে। যেটি আগামী দিনে দলীয় কার্যক্রমে সহায় হবে। এখানে প্রধানমন্ত্রী নারায়ণগঞ্জবাসীর উদ্দেশে গুরুত্বপূর্ণ ভাষণ প্রদান করবেন। পাশাপাশি সভা থেকে প্রধানমন্ত্রী নৌকার মনোনীত প্রার্থীদের পরিচয় করিয়ে দেয়ার পাশাপাশি প্রার্থীর পক্ষে নৌকার ভোট চাইবেন।’
এদিকে নিরাপত্তা নিশ্চিতে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও। জনসভাস্থলের বিভিন্ন পয়েন্টে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপনসহ নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছেন বলে জানান নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল।
তিনি জানান, নিরাপত্তার স্বার্থে সব ধরনের নিরবচ্ছিন্ন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।