দীর্ঘ দুই মাস ধরে চট্টগ্রামে গ্যাস সঙ্কট অব্যাহত রয়েছে। গত দুদিনে সে সঙ্কট আরও তীব্র আকার ধারণ করেছে। মহেশখালী এলএনজি টার্মিনাল থেকে গ্যাস সরবরাহ কমে যাওয়ায় এ সঙ্কট তীব্র হয়েছে। গ্যাস না থাকায় অধিকাংশ আবাসিক এলাকার চুলা জ্বলছে না, রেস্টুরেন্টেও একই অবস্থা বিরাজ করছে। এতে জনভোগান্তি চরমে পৌঁছেছে।
গ্যাসের সরবরাহ না থাকায় সিএনজি ফিলিং স্টেশনগুলোকেও সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। গ্যাসের চাপ কম থাকায় যানবাহনের দীর্ঘ লাইন পড়ছে সিএনজি ফিলিং স্টেশনগুলোর সামনে। এই সুযোগে অটোরিকশার ভাড়া বাড়িয়ে দিয়েছেন অসাধু চালকরা।
জানা গেছে, চট্টগ্রামে জাতীয় গ্রিড থেকে ৩১০ থেকে ৪০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পাওয়া যেত। কিন্তু, মঙ্গলবার থেকে তা আরও কমে গেছে। ওই দিন থেকে গ্যাস মিলছে মাত্র ২৮০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত ২১ অক্টোবর থেকে চট্টগ্রামে গ্যাস সঙ্কট শুরু হয়। ওই দিন থেকে বিভিন্ন বাসাবাড়ি, কলকারখানা, সিএনজি স্টেশনগুলোতে গ্যাস সরবরাহ কমে যায়। অনেক বাসাবাড়িতে রান্নার চুলাও জ্বলেনি।
গ্যাস সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক (বিপণন) ইঞ্জিনিয়ার রইস উদ্দিন আহমেদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘মহেশখালীতে দুটি এলএনজি টার্মিনাল থেকে গ্যাস সরবরাহ করা হতো। বর্তনানে একটি থেকে সরবরাহ করা হচ্ছে। এ কারণে সঙ্কট দেখা দিয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আগে দৈনিক ৩০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পাওয়া যেত। বর্তমানে ২৬০ থেকে ২৮০ মিলিয়ন ঘনফুট পাওয়া যাচ্ছে। এ কারণে কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। এ সঙ্কট কবে নাগাদ সমাধান হবে তা এখনই বলা যাচ্ছে না।’
এদিকে, দীর্ঘদিন ধরে চট্টগ্রামে আবাসিক এলাকায় নতুন গ্যাস সংযোগ বন্ধ রয়েছে। আবাসিকে ২৫ হাজার গ্রাহক গ্যাস সংযোগের জন্য আবেদন করে দীর্ঘদিন ধরে অপেক্ষায় আছেন।
চট্টগ্রামে কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের মোট গ্রাহক ও সংযোগ আছে ছয় লাখ এক হাজার ৯১৪টি। এর মধ্যে গৃহস্থালি সংযোগ পাঁচ লাখ ৯৭ হাজার ৫৬১টি। চট্টগ্রামে দৈনিক গ্যাসের চাহিদা প্রায় ৪০০ মিলিয়ন ঘনফুট। সঙ্কট শুরুর আগে পাওয়া চাহিদার বিপরীতে যেত ৩১০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস।