নেত্রকোণা-৫ (পূর্বধলা) আসনে ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মাজহারুল ইসলাম ওরফে সোহেল ফকিরের বেশ কয়েকটি নির্বাচনি কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর, কর্মীদের মারধর এবং প্রচারে বাধা দেয়ার অভিযোগ উঠেছে নৌকার প্রার্থী আহমদ হোসেনের কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে পূর্বধলা থানায় মামলা করেন স্বতন্ত্র প্রার্থী মাজহারুল ইসলাম ওরফে সোহেল ফকির।
নৌকা সমর্থকদের হামলায় নিজপক্ষের অন্তত ১০ জন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন দাবি করে সোহেল ফকির বলেন, ‘আহতদের মধ্যে বোরহান উদ্দিন ও মোস্তফা নামের দুইজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাদের ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
‘এর আগে, প্রথমে তাদের পূর্বধলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। তারা দুজনই উপজেলার ভিতরগাঁও গ্রামের বাসিন্দা।’
নেত্রকোণা-৫ (পূর্বধলা) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী সোহেল আরও বলেন, ‘মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর থেকে বিশকাকুনি ইউনিয়নের বাদেপুটিকা, খলিশাউড় ইউনিয়নের ইচুলিয়া, পূর্বধলা সদরের নারায়ণডহর, নারান্দিয়া ইউনিয়নের ভবের বাজার, ঘাগড়ার শিবপুর এবং বৈরাটি ও গোহালাকান্দা ইউনিয়নের অন্তত ১০টি নির্বাচনি কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুর চালিয়েছে নৌকার সমর্থকরা। এ ছাড়া বিভিন্ন স্থানে হামলাকারীরা তার কর্মীদের মারধর এবং নির্বাচনি প্রচারেও বাধা দিয়েছে।’
পূর্বধলা থানার ওসি রাশেদুল ইসলাম বলেন, ‘মঙ্গলবার রাতে স্বতন্ত্র প্রার্থী মাজহারুল ইসলাম ওরফে সোহেল ফকিরের পক্ষে রাসেল মিয়া নামে একজন বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। মামলায় ২১ জনের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ এনেছেন তিনি। তাছাড়া আরও বেশকিছু অজ্ঞাত আসামির কথা উল্লেখ করেন। আমরা প্রত্যেকটি ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছি।’
এ বিষয়ে জানতে আহমদ হোসেনের মোবাইল ফোনে কল করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
নৌকার প্রার্থী আহমদ হোসেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের টানা পাঁচবারের সাংগঠনিক সম্পাদক। আর স্বতন্ত্র প্রার্থী মাজহারুল ইসলাম সোহেল ঢাকা মহানগর কৃষক লীগের সহসভাপতি।