বরিশাল-৫ আসনের ট্রাক প্রতীকের প্রার্থী সালাহউদ্দিন রিপনের স্ত্রী ও নারী কর্মীদের প্রচার চালাতে বাধা ও হামলার অভিযোগ উঠেছে নৌকার কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে।
বরিশাল নগরীর মেজর এম এ জলিল রোডে মঙ্গলবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে। ওই সময় লিফলেট ছিঁড়ে ফেলা ও মোবাইল ভাঙচুরেরও অভিযোগ পাওয়া যায়।
তবে নৌকার কর্মী-সমর্থকদের দাবি, এ ঘটনার সঙ্গে তারা কেউ জড়িত নন।
সালাহউদ্দিন রিপনের স্ত্রী জানান, তারা বটতলা বাজার ও নবগ্রাম রোড (মেজর এম এ জলিল রোড) সংলগ্ন এলাকায় ট্রাক প্রতীকের প্রার্থীর পক্ষে গণসংযোগ শুরু করেন। সাধারণ মানুষের কাছে ভোট প্রার্থনা করে লিফলেট দেয়ার শুরুতেই আকস্মিক নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকরা তাতে বাধা দেন।
তিনি বলেন, ‘শুধু বাধা দেয়াই নয়, আমাদের হাত থেকে লিফলেট নিয়ে ছিঁড়ে ফেলে। পাশাপাশি নৌকার পুরুষ কর্মী-সমর্থকরা আমাদের উদ্দেশ্য করে অশালীন কথাবার্তা, গালি-গালাজ ও হামলা করে। তারা আমার হাত থেকে মোবাইল নিয়ে ভেঙে ফেলে। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি শান্ত করে।’
সালাহউদ্দিনের স্ত্রীর সঙ্গে থাকা কর্মী শ্রাবন্তী বারৈ আখি বলেন, ‘কিছু বুঝে ওঠার আগেই হামলাকারীরা আমাদের চারদিক থেকে ঘিরে ফেলে। তারা আমাদের হাত ধরে টানাটানি করে, সেইসঙ্গে নৌকার বাহিরে কোনো কিছু করার দরকার নেই বলে এলাকা ত্যাগের জন্য বলেন।
‘আমাদের সঙ্গে এ ঘটনা চলার সময় সাংবাদিকরা ঘটনাস্থলে এসে ছবি নিতে গেলে তাদের ক্যামেরা ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টার পাশাপাশি বাধাও দেয় হামলাকারীরা। পরে পুলিশ আসলে তারা সরে যায়।’
যদিও নৌকার প্রার্থীর জাহিদ ফারুকের অনুসারী মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন দাবি করেছেন, ধরনের কোনো বিষয় তার জানা নেই।
তিনি বলেন ‘যে ছেলের কথা তারা (ট্রাক প্রতীকের সমর্থকরা) বলছে, সেই ছেলেকে আমরা চিনি না। এ ধরনের কোনো কর্মী আমাদের নেই। তাকে পেলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে সোপর্দ করা হবে।’
জসিমের দাবি ট্রাক প্রতীকের প্রার্থীর লোকজন নিজেরাই এ কাজ করেছেন।