বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

নৌকার কর্মিসভায় আমন্ত্রণ না পাওয়ায় ২ গ্রুপে সংঘর্ষ

  • প্রতিবেদক, বরিশাল   
  • ২ জানুয়ারি, ২০২৪ ২৩:৫৪

ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতির অনুসারীদের দাবি, আওয়ামী লীগ নেতা আতিকুর রহমানের বাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। অন্যদিকে সাবেক কাউন্সিলর আনিস শরীফের দাবি, সভাপতি নাজমুলের অনুসারীরা পিটিয়ে ও কুপিয়ে কমপক্ষে ১০ জনকে আহত করেছে।

বরিশাল নগরীতে নৌকার কর্মিসভায় আমন্ত্রণ না দেয়া নিয়ে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। নগরীর ২৪ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. নাজমুল হুদা ও একই ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর আনিসুর রহমান শরীফের অনুসারীদের মধ্যে এ ঘটনা ঘটে।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নগরীর ধান গবেষণা রোডের দারোগা বাড়ি এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি অনুসারীদের দাবি, ‘আওয়ামী লীগ নেতা আতিকুর রহমানের বাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে।’ অন্যদিকে, সাবেক কাউন্সিলর আনিস শরীফের দাবি, ‘সভাপতি নাজমুলের অনুসারীরা পিটিয়ে ও কুপিয়ে নারী-পুরুষসহ কমপক্ষে ১০ জনকে আহত করেছে।’

আহতদের মধ্যে ইউনুস, বজলু শরীফ, রাব্বি, তীব্র, সাগরকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে দাবি আনিস শরীফের।

তিনি জানান, আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকা প্রার্থীর পক্ষে বিকেলে রূপাতলী লালা দীঘির পাড়ে মহিলা আওয়ামী লীগের কর্মিসভা হয়। কর্মিসভায় দাওয়াত না দেয়া নিয়ে নাজমুল ও আতিক প্রধান অতিথি মেয়রপত্নী লুনা আব্দুল্লাহর কাছে অভিযোগ দেন। এ নিয়ে সভায় ঝামেলা হয়। তারা সভা থেকে বের হয়ে গিয়ে নিজ এলাকায় অবস্থান নেন। পরে নাজমুল ও আতিকের নেতৃত্বে তাদের ওপর হামলা করে।

এ ঘটনায় মামলা করা হবে বলে জানিয়েছেন আনিস শরীফ।

অপর পক্ষের আতিকুর রহমান বলেন, ‘লালা দীঘির পাড়ের কর্মিসভা শুরু হওয়ার ১০ মিনিট আগে আমাদের জানানো হয়। সভার প্রধান অতিথি লুনা আব্দুল্লাহ এলে সেখানে গিয়ে বিষয়টি নিয়ে নালিশ দিই আমরা। সে সময় লুনা আব্দুল্লাহর নির্দেশে আমরা সভায় অবস্থানও করি। কিন্তু, আনিস শরীফের ছোট ভাই বজলু শরীফ এসে সভার মাঝে আমার কলার ধরে। এ নিয়ে সেখানে ঝামেলা হলে আমার সভাস্থল ত্যাগ করি। পরে সভা শেষে তারা এসে আমার বাসায় ভাঙচুর চালায়।’

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, দুই পক্ষ মুখোমুখি অবস্থান নিয়ে এক পক্ষ অপর পক্ষকে উদ্দেশ্যে করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। এ ছাড়া দুই পক্ষ ধারালো দেশীয় অস্ত্র নিয়ে একে অপরকে ধাওয়া দেয়। তখন এলাকায় আতঙ্ক ছড়ায়। পরে খবর পেয়ে পুলিশ এসে পরিস্থিতি শান্ত করে।

কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি আরিচুল হক জানান, ‘দুই পক্ষের মধ্যে একটি ঘটনা ঘটেছে। সেটি বড় কিছু নয়।’

অনেকে হাসপাতালে ভর্তির দাবি উঠলেও ওসি বলেন, ‘এ ঘটনায় কেউ আহত হয়নি।’

নিউজবাংলাও হাসপাতালে খোঁজ নিয়ে ওই দাবির সত্যতা নিশ্চিত করতে পারেনি।

এ বিভাগের আরো খবর