শান্তিতে নোবেল বিজয়ী ও গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস তার বিরুদ্ধে শ্রম আদালতের রায়কে সব আইনি দৃষ্টান্ত ও যুক্তির পরিপন্থী বলে অভিহিত করেছেন।
সোমবার ঢাকার ৩ নম্বর শ্রম আদালত শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় রায় দেয়। রায়ে ড. ইউনূস ও গ্রামীণ টেলিকমের শীর্ষ তিন কর্মকর্তাকে ৬ মাসের কারাদণ্ড ও ২৫ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়।
মঙ্গলবার ইউনূস সেন্টার থেকে দেয়া এক বিবৃতিতে ড. ইউনূস বলেন, ‘আমার আইনজীবীরা আদালতে দৃঢ়তার সঙ্গে যুক্তি দেখিয়েছেন যে আমার বিরুদ্ধে এই রায় সব আইনি নজির ও যুক্তির পরিপন্থী।’
বিবৃতিতে এই নোবেল জয়ী তার সামর্থ্য অনুযায়ী দেশবাসী ও সামাজিক ব্যবসা আন্দোলনে সেবা করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
তিনি বলেন, ‘আমি আমার সামর্থ্য অনুযায়ী বাংলাদেশের জনগণ ও সামাজিক ব্যবসা আন্দোলনে সেবা করে যাব।’
ড. ইউনূস অন্যায়ের বিরুদ্ধে, গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের পক্ষে কথা বলার জন্য জনগণের প্রতি আহ্বান জানান।
৮৩ বছর বয়সী এই অর্থনীতিবিদ বলেন, ‘আমি বাংলাদেশের জনগণকে অন্যায়ের বিরুদ্ধে এবং আমাদের প্রতিটি নাগরিকের গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের পক্ষে অভিন্ন সুরে কথা বলার আহ্বান জানাচ্ছি।’
ইউনূসসহ গ্রামীণ টেলিকমের তিন কর্মকর্তা সোমবার আপিলের শর্তে জামিন পাওয়ায় তাদের জেলে যেতে হয়নি।
রায়ের পর সংক্ষিপ্ত প্রতিক্রিয়ায় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি এমন একটি অপরাধের জন্য শাস্তি পেয়েছি যা আমি করিনি। আপনি যদি এটিকে ন্যায়বিচার বলতে চান তাহলে বলতে পারেন।’