আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু না হলে এর ফল ভালো হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী ও দলটির মহাসচিব তৈমুর আলম খন্দকার।
সোমবার দুপুরে নারায়ণঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার দাউদপুর ইউনিয়নের কালনিবাজারে তার আসনে গণসংযোগকালে তিনি এ হুঁশিয়ারি দেন।
তৈমুর আলম বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নিশ্চয়তা প্রদান করেছেন, এখানে সুষ্ঠু ভোট হবে। আর আমি যেহেতু একটা দলের মহাসচিব সেহেতু মিডিয়া ও আন্তর্জাতিক মিডিয়ার নজর এখানে থাকবে। তাই আমার দৃঢ় বিশ্বাস, সুষ্ঠু নির্বাচন হবে। যদি নির্বাচন সুষ্ঠু না হয়, তাহলে এর ফল ভালো হবে না।
বিএনপি ও তৃণমূল বিএনপির মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই জানিয়ে তিনি বলেন, বিএনপি ও তৃণমূল বিএনপির মধ্যে পার্থক্য নেই। তবে এতটুকু পার্থক্য রয়েছে, তৃণমূল বিএনপিতে ওপর থেকে কোনো সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেয়া হবে না। তৃণমূল থেকে যে সিদ্ধান্ত হবে সেটা কেন্দ্রে বাস্তবায়ন করা হবে।
তৈমুর আলম বলেন, আর বহিষ্কার সেটা তো সৌভাগ্যের বিষয়। শহীদ রাষ্ট্রপতি যাদের নিয়ে বিএনপি করলেন বি চৌধুরী, নাজমুল হুদা, কর্নেল অলিসহ আরও অনেকে দিনে দিনে বহিষ্কার হয়েছেন। বহিষ্কার, জেল ও সাজা অনেক সময় সৌভাগ্যের বিষয়। আজকে আমাকে বহিষ্কার করায় ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ হচ্ছে তৃণমূল বিএনপি।
বিএনপির নেতা-কর্মীরা তার পক্ষে নির্বাচনে কাজ করছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, আজকে যে রূপগঞ্জে বিএনপি নেতা-কর্মী ধরপাকড় বন্ধ আছে এটা আমার জন্য হয়েছে। এটা আমার দাবির পরিপ্রেক্ষিতে হয়েছে। আমি মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ বিভিন্ন মাধ্যমকে বলেছি, এখন কিন্তু বিএনপির নেতা-কর্মীরা বাড়িতে ঘুমোতে পারে।
তিনি বলেন, আমি নির্বাচনে জয়লাভ করলে আওয়ামী লীগও নিরাপদে থাকবে। ওই সময়ে আওয়ামী লীগকে কেউ টুকরো টুকরো করবে না, বিএনপিকে কেউ দ্বিখণ্ডিত করবে না। এ কারণে বিএনপির নেতা-কর্মীরা আমার সাথে হাঁটতেছে, আমার পক্ষে নির্বাচনে কাজ করছে। নেতা-কর্মীদের সাথে আমার সম্পর্ক এমন হয়েছে, যে পানি কাটলে দুই টুকরো হবে কিন্তু আমরা দুই টুকরো হবো না। দেশ নেত্রী খালেদা জিয়ার মুক্তি এখন সময়ের দাবি।
নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, টাকা বিতরণের ভিডিও আমি গণমাধ্যমকে দিয়েছি। নির্বাচন কমিশনকে জানিয়েছি কোনো অ্যাকশন নেয়নি। এভাবে দিন দিন নির্বাচন কমিশনের প্রতি আমাদের আস্থা নষ্ট হয়ে যাবে। নির্বাচন কমিশনকে শক্ত অবস্থানে থাকতে হবে। ২০১৪ ও ২০১৮ সালে কারা কেন্দ্র দখল করেছে সে বিষয়ে আমরা নির্বাচন কমিশনকে জানিয়েছি, তারা কোনো অ্যাকশন নেয়নি। এই অবস্থা যত চলতে থাকবে দিন যত ঘনিয়ে আসবে মানুষের বুকের সাহস তত পিছিয়ে যাবে।