ঢাকা-১৯ আসন সাভারে ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থীর নির্বাচনি ক্যাম্পে হামলা, ভাঙচুর ও কর্মীদের কুপিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে নৌকার কর্মীদের বিরুদ্ধে। আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্বতন্ত্র প্রার্থীর অভিযোগ, নৌকার প্রার্থী ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান নিজের পরাজয় নিশ্চিত জেনেই নির্বাচন বানচাল করতে এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়েছেন।
রোববার গভীর রাতে ইয়ারপুর ইউনিয়নের ঘোষবাগ সোনা মিয়া মার্কেট এলাকায় স্বতন্ত্র প্রার্থীর নির্বাচনি ক্যাম্পে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন- সানি ভূইয়া, মো. সাগর, নূর ইসলাম, সুজন ও মিলন।
অভিযুক্তরা হলেন- ইয়ারপুর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য রাজন ভূইয়া, সাইফুল ও রাকিবসহ অজ্ঞাত বেশ কয়েকজন।
আহত এনামুল হক মিলন বলেন, ‘রোববার রাতে আমাদের নির্বাচনি ক্যাম্পে ঢুকে চেয়ার-টেবিল ভাঙচুর ও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেছে নৌকার কর্মী স্থানীয় ইউপি মেম্বার রাজন ভূইয়া ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী। ভাঙচুর করে তারা ক্যাম্প বন্ধ করে দেয়ার সময় গোপনে ধারণকৃত একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। ভাঙচুরের খবর পেয়ে আমরা ক্যাম্পের সামনে গেলে আমাদের ওপরেও হামলা করে সন্ত্রাসীরা। এ সময় তারা সানি ভূইয়াসহ ৫ জনকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করে। মূলত আমরা ট্রাকের নির্বাচন করতে পারব না, আমাদের নৌকার নির্বাচন করতে হবে- এ কারণেই আমাদের ওপর নৌকার লোকজন হামলা চালিয়েছে।’
স্বতন্ত্র প্রার্থী মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘নৌকার প্রার্থী ডা. এনামুর রহমানের সরাসরি নির্দেশে স্থানীয় ইউপি সদস্য রাজন ভূইয়ার নেতৃত্বে তার সন্ত্রাসী বাহিনী দ্বারা আমাদের ট্রাক মার্কার অফিস ভাঙচুর করেছে। এ সময় আমার কর্মী শ্রমিকলীগ নেতা সানি ভূইয়াসহ কয়েকজন সেখানে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাদের কুপিয়ে আহত করে।’
তিনি বলেন, ‘নৌকার প্রার্থী এনামুর রহমান নির্বাচনকে বানচাল করার জন্য এই সমস্ত নারকীয় জঘন্য ঘটনা ঘটাচ্ছে। সে তার পরাজয় নিশ্চিত জেনে ঢাকা-১৯ আসনে যাতে নির্বাচন না হয়, সেজন্য সুপরিকল্পিতভাবে এই ধরনের ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটাচ্ছে। আমি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি।’
এদিকে ঘটনার পরপর গভীর রাতে হামলার প্রতিবাদে ও আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে টঙ্গী-আশুলিয়া-ইপিজেড মহাসড়কের নরসিংহপুর ও নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের পল্লীবিদ্যুত এলাকায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকরা। পরে আশুলিয়া থানা পুলিশের আশ্বাসে তারা সড়ক থেকে সরে গেলে প্রায় আধঘণ্টা পর যানচলাচল স্বাভাবিক হয়।
আশুলিয়া থানার ওসি এএফএম সায়েদ বলেন, ‘রাতে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত তিনজনকে আটক করা হয়েছে। বাকিদের আটকেও অভিযান চলছে। মামলার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।’
তবে এ বিষয়ে নৌকার প্রার্থী দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমানকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।