বরিশাল নগরীতে বিড়ালের মাছ খাওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে এক পুলিশ নায়েকের দুই ছেলেসহ তিনজনকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে।
নগরীর ধান গবেষণা রোডের একটি ভাড়া বাসায় রোববার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন ভাড়াটিয়া মহানগর পুলিশের নায়েক আব্দুর রহমানের ছেলে আল আমিন ও আরাফাত এবং তাদের বন্ধু একই এলাকার বাসিন্দা মো. মুন্না।
নায়েক আব্দুর রহমান বলেন, ‘আমাদের পোষা বিড়াল অপর ভাড়াটিয়া মুহুরি তুহিনের একটি মাছ খেয়ে ফেলে। এ নিয়ে তুহিন ও তার স্ত্রী তায়েবা ক্ষুব্ধ হন। আমার স্ত্রী সেলিনা বেগমের সঙ্গে ঝগড়া শুরু করে তারা। একপর্যায়ে তুহিন ও তায়েবা আমার স্ত্রীকে ধাক্কা দেয়।
‘তখন আমার দুই ছেলে ও বন্ধু মুন্না সেখানে গেলে তুহিনের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। তখন তুহিনের স্ত্রী তায়েবা এসে আরাফাতকে বটি দিয়ে কোপ দেয়। মুন্না তাকে রক্ষায় এগিয়ে গেলে তার হাতেও কোপ দিয়ে জখম করে।’
আহত তিনজন বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
আব্দুর রহমান আরও জানান, এ ঘটনায় স্ত্রী সেলিনা বেগম কোতয়ালি মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। ঘটনার পর পুলিশ তুহিন ও তার স্ত্রী তায়েবাকে পুলিশ হেফাজতে নিয়েছে।
বাড়ির মালিক আইনজীবী মাইনুল ইসলাম সজল বলেন, ‘ইলিশ মাছ বিড়ালে খেয়ে ফেলা নিয়ে দুই ভাড়াটিয়ার মধ্যে ঝগড়া হয়েছে। তিনজনকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে স্বামী ও স্ত্রীকে আটক করেছে। আমি দুই পক্ষকে বিষয়টি মীমাংসা করার প্রস্তাব দিয়েছি।’
কোতয়ালি মডেল থানার ওসি আরিচুল হক বলেন, ‘ঘটনা শুনে পুলিশ পাঠানো হয়। অভিযুক্ত স্বামী ও স্ত্রীকে হেফাজতে নেয়া হয়েছে। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’