নেত্রোকোণা-১ (কলমাকান্দা-দুর্গাপুর) নির্বাচনি এলাকার কলমাকান্দা উপজেলায় স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে।
নৌকা সমর্থকদের অতর্কিত হামলায় সাত জন আহত হয়েছেন বলে দাবি করেছেন আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী জান্নাতুল ফেরদৌস আরা (ঝুমা তালুকদার)।
নাজিরপুর ইউনিয়নের চকবাজারে রোববার রাত আড়াইটার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
হামলায় আহতরা হলেন পাইপুকুরিয়া গ্রামের আনোয়ার ভুঁইয়া, মামুন ভুঁইয়া, গণি ভুঁইয়া, শিলারকাকুরী গ্রামের রাজু মিয়া, বেনুয়া গ্রামের জুলহাস মণ্ডল সাকি, মইপুকা গ্রামের কামরুজ্জামান ও সদর উপজেলার দুধকুড়া
গ্রামের আশরাফুল ইসলাম কনক। তাদের দুর্গাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
কলমাকান্দা থানার ওসি মোহাম্মদ লুৎফুল হক এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘ঘটনার পরপর নাজিরপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল কদ্দুছ বাবুলকে আটক করা হয়েছে।’
বাবুল ওই আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মোশতাক আহমেদ রুহীর সমর্থক ও আত্মীয় বলে জানিয়েছেন ঝুমা তালুকদার।
ঝুমা বলেন, ‘আমার কলমাকান্দা উপজেলার কয়েকজন কর্মী-সমর্থক নির্বাচনি প্রচার-প্রচারণা শেষে রাত আড়াইটার দিকে মোটরসাইকে করে নাজিরপুর ইউনিয়নের চকবাজার চৌরাস্তায় যান। ওই সময় সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল কদ্দুছ বাবুলের নেতৃত্বে নৌকার সমর্থকরা তাদের ওপর রামদা, রড ও লাঠিসোঁটা নিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়।
‘হামলাকারীরা দুটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর ছাড়াও একটি মোটরসাইকেল পুকুরে ফেলে দেয় এবং তাদের কাছে থাকা নগদ টাকা ও মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়।’
সিসিটিভির ফুটেজে ঘটনার দৃশ্য রেকর্ড হয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি।
এ বিষয়ে জানতে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মোশতাক আহমেদ রুহীর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি।
ওসি লুৎফুল হক বলেন, ‘এ ঘটনায় ঝুমা তালুকদার বাদী হয়ে রাতেই একটি মামলা করেছেন। আমরা ঘটনার খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক আবদুল কদ্দুছ বাবুলকে আটক করেছি। ঘটনায় জড়িত অন্যদেরও আটকের চেষ্টা চলছে।’