পুরো বিশ্ব বাংলাদেশের দিকে তাকিয়ে আছে উল্লেখ করে নির্বাচন কমিশনার মো. আনিছুর রহমান বলেছেন, ‘অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে না পারলে আমাদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক, সামাজিক ও ব্যবসায়িক কার্যক্রম সবকিছু থমকে যাওয়ার আশঙ্কা আছে। বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ারও আশঙ্কা রয়েছে।
রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে রোববার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ইসি আনিছুর বলেন, ‘দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আর মাত্র ছয়দিন বাকি। এই নির্বাচনকে শুধু আমাদের দৃষ্টিতে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ বললেই হবে না। নির্বাচনকালীন দায়িত্ব পালন করার জন্য আমাদের চাহিদা অনুযায়ী ৮৩৮ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে সরকার নিয়োজিত করেছে।
‘নির্বাচনকে যেকোনো মূল্যে সুষ্ঠু, অবাধ ও অংশগ্রহণমূলক করতে হবে। এ উদ্দেশ্যে ২৮ নভেম্বর থেকেই আচরণবিধি প্রতিপালনের জন্য নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা কাজ করে যাচ্ছেন।’
তিনি বলেন, ‘সব ধরনের নিরপেক্ষতা বজায় রেখে আমরা মাঠে কাজ করব। তবে অন্য যে কোনো নির্বাচনের তুলনায় এবার এখন পর্যন্ত সহিংসতা খুব কম হয়েছে। আচরণবিধির লঙ্ঘনও তুলনামূলক কম হয়েছে। তাতে আমরা আত্মতুষ্টিতে ভুগছি না। আমরা চাই আরও কম হোক। সম্ভব হলে এটা জিরোতে নেয়া উচিত।’
ইসি আনিছুর বলেন, ‘সারা দেশে দুই হাজারের বেশি প্রার্থী আছেন। তাদের সবার মানসিকতায় ভিন্নতা রয়েছে। এলাকাভিত্তিক মানুষের ভিন্নতা রয়েছে। কোনো কোনো জায়গায় ছোট একটি ইস্যু নিয়েও বড় সমস্যা হয়ে যায়। এসব কারণে আমরা মনে করি, নির্বাচনকে সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য করার জন্য আপনাদের (এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট) ভূমিকা পালন করতে হবে।’
নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিব মো. জাহাংগীর আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল।
বিশেষ অতিথি ছিলেন নির্বাচন কমিশনার মো. আনিছুর রহমান এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ্ উদ্দিন চৌধুরী।
স্বাগত বক্তব্য দেন নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক এস এম আসাদুজ্জামান।