বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

হিমেল হাওয়ায় কাঁপছে দিনাজপুর 

  • প্রতিনিধি, দিনাজপুর    
  • ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৩ ১৫:৫৭

দিনাজপুর আঞ্চলিক আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের আবহাওয়া ইনচার্জ আসাদুজ্জামান বলেন, ‘বাতাসের প্রভাবের কারণে শীত বেশি অনুভূত হচ্ছে। তবে এখন পর্যন্ত শৈত্য প্রবাহের কোনো আভাস নাই।’

হিমালয়ের পাদদেশের জেলা দিনাজপুরে বেড়েছে শীতের তীব্রতা। ঘন কুয়াশার সঙ্গে পাহাড় থেকে বয়ে আসা হিম বাতাস দিনাজপুরের মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রাকে দুর্বিষহ করে তুলেছে। বিশেষ করে নিম্ন আয়ের মানুষের।

দিনাজপুর আঞ্চলিক আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র সূত্রে জানা যায়, রোববার দিনাজপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আর্দ্রতা ৯৭ শতাংশ এবং বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় সাড়ে ৫ কিলোমিটার। শনিবারও এই জেলার তাপমাত্রা ছিল ১৪ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বাতাসের আর্দ্রতা ৯১ শতাংশ এবং গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৩.৭ কিলোমিটার।

মূলত এই জেলার তাপমাত্রা কয়েকদিন ধরেই ১৩ থেকে ১৪ ডিগ্রির ঘরে উঠানামা করছে। তবে হঠাৎ করেই হিমেল বাতাসের কারণে বেড়েছে শীতের তীব্রতা।

শনিবার সন্ধ্যার একটু পরপরই রাস্তাঘাটে মানুষজনের উপস্থিতি একেবারে কমে গেছে। খুব একটা প্রয়োজন ছাড়া মানুষজন ঘর থেকে বের হচ্ছে না। কষ্টের মধ্যে রয়েছে খেটে খাওয়া ও ছিন্নমূল মানুষজন।

শীত কৃষিক্ষেত্রেও প্রভাব ফেলতে শুরু করেছে। বর্তমানে মাঠে রয়েছে আলুসহ বিভিন্ন ফসল। ঘন কুয়াশার ফলে আলু ও টমেটোতে লেটব্লাইটসহ বিভিন্ন রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে।

দিনাজপুর রাজবাড়ী কাটাপাড়া এলাকার লতিফুর রহমান বলেন, ‘সকাল সকাল বাড়ি থেকে বের হয়েছি। বাজার থেকে পাইকারি দরে সবজি কিনে সেগুলো গ্রামের বাজারে খুচরা দরে বিক্রি করি। এই শীতের কারণে সকালে বাড়ি থেকে বের হয়ে হাত-পা কোকরা হয়ে পড়েছে। এভাবে কাজ করা যায় না, আয়-উপার্জন কমে গেছে। মানুষজন বাজারে আসছে না।’

ওই এলাকার কৃষক সফিকুল ইসলাম বলেন, ‘কিছু জমিতে আলু আছে। এই শীত আর ঘন কুয়াশার কারণে আলুর পাতা কুঁকড়ে যাচ্ছে, মরিচা ধরার মত লাল হয়ে যাচ্ছে। এটা নাকি লেটব্লাইট রোগ। এজন্য বালাইনাশক স্প্রে করতে হচ্ছে।’

দিনাজপুর আঞ্চলিক আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের আবহাওয়া ইনচার্জ আসাদুজ্জামান বলেন, ‘বাতাসের প্রভাবের কারণে শীত বেশি অনুভূত হচ্ছে। তবে এখন পর্যন্ত শৈত্য প্রবাহের কোনো আভাস নাই।’

এ বিভাগের আরো খবর