বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

থার্টি ফার্স্ট নাইট: আগ্নেয়াস্ত্রের ওপর বিধিনিষেধ ডিএমপির

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৩ ০৯:০৮

পরিস্থিতি বিবেচনায় ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান কিছু নির্দেশনা মেনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সহযোগিতা করার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে অনুরোধ জানিয়েছেন।

থার্টি ফার্স্ট নাইট উপলক্ষে ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬টা থেকে ২০২৪ সালের ১ জানুয়ারি ভোর ৫টা পর্যন্ত ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন আবাসিক হোটেল, রেস্টুরেন্ট, জনসমাগম ও উৎসবে সব ধরনের লাইসেন্সধারী আগ্নেয়াস্ত্র বহনের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।

এ ছাড়া এ সময় কোথাও কোনো ধরনের আগুন সম্পর্কিত কাজ, আতশবাজি ও ফানুস কেনা-বেচা করা যাবে না বলেও নির্দেশনা জারি করেছে ডিএমপি। খবর ইউএনবির

৩১ ডিসেম্বর রাতে ঢাকা মহানগরীর নিরাপত্তা ও আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখার স্বার্থে ডিএমপি এ নির্দেশনা দিয়েছে।

ডিএমপি এতে বলেছে, ৩১ ডিসেম্বর রাতে ইংরেজি নববর্ষ ২০২৪ -কে স্বাগত জানাতে ঢাকা শহরের বিভিন্ন এলাকায় বিভিন্ন আনন্দ উৎসবে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নেবেন নগরবাসী। তবে কিছু উচ্ছৃঙ্খল ব্যক্তি এমন কিছু কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকবে, যা তাদের নিজস্ব সংস্কৃতি, মূল্যবোধ ও ঐতিহ্যের পরিপন্থি।

কেউ কেউ আলোকসজ্জা, আতশবাজি, ফানুস উড়ানো, অসদাচরণ, বেপরোয়াগাড়ি ও মোটরসাইকেল চালানো এবং রাস্তায় দুর্ঘটনা ঘটিয়ে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করে।

পরিস্থিতি বিবেচনায় ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান কিছু নির্দেশনা মেনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সহযোগিতা করার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে অনুরোধ জানিয়েছেন।

ঢাকা শহরের সার্বিক নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে সড়ক জংশন, ফ্লাইওভার, রাস্তা ও উন্মুক্ত স্থানে কোনো ধরনের সভা বা উৎসব করা যাবে না। উন্মুক্ত স্থানে কোনো অনুষ্ঠান, সমাবেশ, নাচ, গান বা কোনো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করা যাবে না।

সন্ধ্যা ৬টার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় বাইরের কোনো ব্যক্তি বা যানবাহন প্রবেশ করতে পারবে না। শুধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টিকার লাগানো যানবাহন শনাক্তকরণ সাপেক্ষে প্রবেশ করতে পারবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় বসবাসরত শিক্ষক-শিক্ষার্থী-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আগামী ৩১ ডিসেম্বর রাত ৮টার মধ্যে নিজ নিজ এলাকায় ফিরে যেতে হবে এবং রাত ৮টার পর প্রবেশের ক্ষেত্রে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যদের পরিচয়পত্র দেখাতে হবে।

রাত ৮টার পর গুলশান, বনানী ও বারিধারা এলাকায় বহিরাগতরা প্রবেশ করতে পারবে না। তবে ওই এলাকায় বসবাসরত সম্মানিত নাগরিকরা নির্ধারিত সময়ের পর চিহ্নিতকরণ সাপেক্ষে কামাল আতাতুর্ক এভিনিউ (কাকলী ক্রসিং) ও মহাখালী আমতলী ক্রসিং দিয়ে প্রবেশ করতে পারবেন।

একইভাবে গুলশান, বনানী, বারিধারা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক এলাকায় বসবাসরত নগরবাসীকে সার্বিক নিরাপত্তার স্বার্থে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ওই সব এলাকায় যেতে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে।

সন্ধ্যা ৬টার পর হাতিরঝিল এলাকায় কোনো ধরনের জমায়েত বা অনুষ্ঠান করা যাবে না এবং সেখানে গাড়ি থামিয়ে বা পার্কি করে কেউ অবস্থান করতে পারবে না।

গুলশান, বনানী ও বারিধারা এলাকায় বসবাসরত বাসিন্দাদের আগামী ৩১ ডিসেম্বর রাত ৮টার মধ্যে নিজ নিজ এলাকায় ফিরে যেতে বলা হয়েছে।

আগামী ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬টার পর ঢাকা শহরের কোনো বার খোলা রাখা যাবে না।

আবাসিক হোটেলগুলো সীমিত আকারে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় অনুষ্ঠান আয়োজন করতে পারবে।

এ বিভাগের আরো খবর