রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুই কারাবন্দি আসামির মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে একজন জামায়াতের নেতা। তিনি হাজতি হিসেবে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের বন্দি ছিলেন। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত অন্য কয়েদি ছিলেন নওগাঁ জেলা কারাগারে। চিকিৎসার জন্য দুজনকে হাসপাতালে নেয়া হয়েছিল।
প্রয়াত জামায়াত নেতার নাম আবদুল লতিফ। ৬৬ বছর বয়সী আবদুল লতিফ রাজশাহীর দামকুড়া থানা জামায়াতের আমির ছিলেন। গত ১৮ ডিসেম্বর দামকুড়া থানার বিশেষ ক্ষমতা ও বিস্ফোরক আইনের মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
অন্যদিকে ৯০ বছর বয়সী আজিজুল হক যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি ছিলেন। দীর্ঘদিন ধরে কারাগারে ছিলেন তিনি। তার বাড়ি নওগাঁর ধামইরহাটে।
রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের জ্যেষ্ঠ জেল সুপার আবদুল জলিল জানান, নওগাঁ কারাগার থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য গত বৃহস্পতিবার আজিজুলকে রাজশাহীতে পাঠানো হয়েছিল। এরপর সেদিনই তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শনিবার সকালে তিনি মারা গেছেন।
অন্যদিকে আবদুল লতিফকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল শুক্রবার। তিনিও মারা গেছেন শনিবার সকালে। এই দুই বন্দি নানা শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন। মৃত্যুর পর ময়নাতদন্ত শেষে দুজনের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।