বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আমি আমার কথা বলতে পারব না?

  • প্রতিনিধি, ঠাকুরগাঁও   
  • ৩০ ডিসেম্বর, ২০২৩ ২০:৩০

সুপ্রিম কোর্টের রায়ে প্রার্থিতা ফিরে পাওয়ার পর ঠাকুরগাঁও-১ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী তাহমিনা আখতার মোল্লা বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিতে এসে ম্যাজিস্ট্রেটের বাধার মুখে পড়েন। এ সময় তিনি ম্যাজিস্ট্রেটের উদ্দেশে প্রশ্ন ছুড়ে দেন- ‘আমার কি মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নেই? এটা কোনখানে আছে বলেন।’

সুপ্রিম কোর্টের রায়ে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থিতা ফিরে পেয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিতে এসে ম্যাজিস্ট্রেটের বাধার মুখে পড়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী তাহমিনা আখতার মোল্লা। সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার মাঝখানে এমন বাধার মুখে পড়ে তিনি প্রশ্ন ছুড়ে দেন- আমার কি মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নেই।

ঠাকুরগাঁও-১ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে যাচাই-বাছাইয়ে তা বাতিল হয় তাহমিনা আখতার মোল্লার। নির্বাচন কমিশন ও হাইকোর্টে গিয়েও ফল না পেয়ে সুপ্রিম কোর্ট থেকে তিনি প্রার্থিতা ফিরে পান।

শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে জেলা পরিষদ ডাকবাংলোতে সমর্থক ও শুভাকাঙ্খীদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাতে আসেন তাহমিনা আখতার।

এ সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘২৮ ডিসেম্বর সুপ্রিম কোর্ট থেকে মামলা করে প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছি। ৩১ ডিসেম্বর রোববার জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিয়ে আনুষ্ঠানিক প্রচারে নামব।’

এদিকে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার মাঝখানেই জেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সদর উপজেলার নির্বাচন আচরণ বিধি লঙ্ঘন পর্যবেক্ষণ কর্মকর্তা আসাদুল ইসলামের নির্দেশে এক পুলিশ সদস্য এসে তাকে থামিয়ে দেন। বলেন- ম্যাজিস্ট্রেট স্যার আপনাকে ডাকছেন।

তাহমিনা আখতারকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রশ্ন করেন, ‘আপনি সমাবেশ করছেন কেন? অনুমতি নিয়েছেন?’

জবাবে তহমিনা আখতার মোল্লা বলেন, ‘আমি মামলা করে জিতে আসছি। আমি এখানে কোনো মিছিল নিয়ে আসিনি। লোকজন এখানে দেখা করতে আসছে এবং আমরা বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দেবো। ফুল দিতে অনুমতি লাগবে- এটা তো জানা ছিলো না।’

এ সময় তহমিনা মোল্লার সমর্থকরা কথা বলতে শুরু করলে কার্যক্রম শেষ করতে বলেন ম্যাজিস্ট্রেট

এ সময় পাল্টা প্রশ্ন ছুড়ে তাহমিনা মোল্লা বলেন, ‘আমি আমার কথা বলতে পারব না? আমার কি মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নেই? এটা আপনি বলতে পারেন না, এটা কোনখানে আছে বলেন।’

সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার মাঝখানে কোন অভিযোগে থামালেন- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আসাদুল ইসলাম ক্যামেরার সামনে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু বলতে চাননি। বিষয়টি নিয়ে তিনি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলতে বলেন।

এ বিষয়ে জানতে জেলা প্রশাসক ও জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. মাহাবুবর রহমানের মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

এ বিভাগের আরো খবর