নির্বাচনি জনসভায় ভাষণ দিতে শনিবার মাদারীপুরের কালকিনিতে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বেলা ৩টার দিকে তার ভাষণ শুরুর কথা রয়েছে।
শেখ হাসিনার আগমনকে ঘিরে সব ধরনের প্রস্তুতি শেষ করেছেন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা।
সৈয়দ আবুল হোসেন বিশ্ববিদ্যালয় মাঠে প্রস্তুত করা হয়েছে জনসভার মঞ্চ। প্রধানমন্ত্রীর জনসভাকে ঘিরে ছয় স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। সাদা পোশাকের পাশাপাশি থানা পুলিশ, জেলা পুলিশ নিরাপত্তার জন্য প্রস্তুত। এ ছাড়া প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ নিরাপত্তায় অন্যান্য বাহিনীর সদস্যরাও নিয়োজিত থাকবেন।
মাদারীপুরের আওয়ামী লীগের নেতারা বলছেন, সভায় জমায়েত হবে লক্ষাধিক মানুষ। জনসভাকে ঘিরে নিয়োজিত থাকবে পাঁচ হাজারের বেশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য। সেই মোতাবেক প্রস্তুত প্রশাসনও। প্রধানমন্ত্রী জনসভাকে ঘিরে প্রস্তুত করা হয়েছে সৈয়দ আবুল হোসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঠ। তাকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত নেতা-কর্মীরা, আনন্দে আত্মহারা সাধারণ মানুষ। জনসভা সফল করতে এরইমধ্যে বর্ধিতসভা করেছে আওয়ামী লীগ। প্রধানমন্ত্রীর আগমনে চাওয়া-পাওয়ার শেষ নেই উপজেলাবাসীর। পদ্মা সেতু নির্মাণের পর এই জনসভা দক্ষিণাঞ্চলের সড়ক যোগাযোগে বৈপ্লবিক পরিবর্তনে আরও ভূমিকা রাখবে বলে প্রত্যাশা নেতা-কর্মীদের।
দলীয় সূত্র জানায়, মাদারীপুর সদরের একাংশ, কালকিনি ও ডাসার উপজেলা নিয়ে গঠিত মাদারীপুর-৩ সংসদীয় আসন। এই আসনে নৌকার প্রার্থী ড. আবদুস সোবহান মিয়া গোলাপ। তিনি স্থানীয় সংসদ সদস্যও। প্রথমবারের মতো কালকিনির এই মাঠে জনসভায় ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার আগমনে আগামী ৭ তারিখের নির্বাচনে নৌকার পক্ষে ভোটার উপস্থিতি বাড়বে বলে প্রত্যাশা নেতা-কর্মীদের।
এ বিষয়ে মাদারীপুর-৩ আসনের আওয়ামী লীগের এমপি প্রার্থী ড. আবদুস সোবাহান মিয়া গোলাপ বলেন, ‘আজকের জনসভার মধ্য দিয়ে প্রধানমন্ত্রী পরিস্কার বার্তা দেবেন সবাইকে নৌকার পক্ষে কাজ করতে। যারা বিরোধিতা করছেন, তারাও নৌকার পক্ষে কাজ করবে বলে আমার ধারণা। নৌকা এ দেশের মানুষের আর্থসামাজিক মর্যাদা বৃদ্ধি করেছে, তাই নৌকার বিজয় সুনিশ্চিত।’