বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

জাতীয় নির্বাচন ও স্থিতিশীলতা বিষয়ে গোলটেবিল বৈঠক

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ২৯ ডিসেম্বর, ২০২৩ ২৩:৫৫

পীযূষ বন্ধ্যোপাধ্যায় আইসিএলডিএসকে যুগোপযোগী আলোচনার ব্যবস্থা করে দেয়ায় ধন্যবাদ দিয়ে তার বক্তব্য শুরু করেন। বলেন, ‘নির্বাচন হবে আর দেশ শান্ত নদীর মতো থাকবে সেটা সম্ভব নয়। আমরা অসাম্প্রদায়িক ও শান্তি নিয়ে বেঁচে থাকতে চাই। মাইনরিটি যেন ভোটের ভয়ে না থাকে। ভোটারদের আনতে হবে কেন? তারা আসবেন, তাদের আনার ব্যবস্থা করতে হবে।’

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে ‘জাতীয় নির্বাচন ও স্থিতিশীলতা’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার রাজধানীর লেকশোর হোটেলে এ বৈঠকের আয়োজন করে ইনস্টিটিউট অফ কনফ্লিক্ট, ল অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ (আইসিএলডিএস)।

বৈঠকটির সঞ্চালনায় ছিলেন ড. ফারজানা মাহমুদ এবং নূর সাফা জুলহাস। গোলটেবিল বৈঠকে আমন্ত্রিত অতিথিরা জাতীয় নির্বাচন ও স্থিতিশীলতা বিষয়ে তাদের মূল্যায়ন তুলে ধরেন।

আইসিএলডিএসের নির্বাহী পরিচালক অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল মো. আবদুর রশীদের সূচনা বক্তব্যের মধ্যদিয়ে আলোচনা শুরু হয়।

এ সময় ডিবিসির সম্পাদক জায়েদুল আহসান পিন্টু বলেন, ‘নির্বাচনে একটি গুরুত্বপূর্ণ দল আসেনি। তাই ঘাটতি বাজেটের মত কতটুকু ঘাটতি- সেটা নিয়েই শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করতে হবে।’ সকল দলের অংশগ্রহণ ও অবাধ নির্বাচন কামনা করেন তিনি।

৭১ টিভির ব্যাবস্থাপনা পরিচালক ও সিনিয়র সাংবাদিক মোজাম্মেল বাবু অবাধ, নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু নির্বাচনের তিনটি মানদণ্ডের কথা তুলে ধরে বলেন, ‘বাংলাদেশের পক্ষেই এ নির্বাচন হবে।’

দৈনিক ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত বলেন, ‘একেক জায়গায় স্থিতিশীলতার সংজ্ঞা একেক রকম। আমাদের স্থিতিশীলতা বলতে বুঝায় স্বাধীনতার পক্ষে সাম্প্রদায়িকতামুক্ত থাকবে সমাজ ও দেশ। বিএনপি আসলে হয়তো আবার গ্রেনেড হামলা দেখতে হতে পারে। এখন আমাদের দেশে ভোটার এমপাওয়ারমেন্ট হচ্ছে।’

পীযূস বন্ধ্যোপাধ্যায় আইসিএলডিএসকে যুগোপযোগী আলোচনার ব্যবস্থা করে দেয়ায় ধন্যবাদ দিয়ে তার বক্তব্য শুরু করেন। বলেন, ‘নির্বাচন হবে আর দেশ শান্ত নদীর মতো থাকবে সেটা সম্ভব নয়। আমরা অসাম্প্রদায়িক ও শান্তি নিয়ে বেঁচে থাকতে চাই। মাইনরিটি যেন ভোটের ভয়ে না থাকে। ভোটারদের আনতে হবে কেন? তারা আসবেন, তাদের আনার ব্যবস্থা করতে হবে। আমি মনে করি, তরুণ ভোটাররা এবারও আসবে।’

সাবেক নির্বাচন কমিশনার ও অবসরপ্রাপ্ত বিগ্রেডিয়ার জেনারেল শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘নির্বাচন হয়তো শতভাগ অংশগ্রহণমূলক হচ্ছে না। তবে একটা বড় অংশ নির্বাচনে আসছে, লড়াই করবে ভোটে। আগের তুলনায় বর্তমান নির্বাচন কমিশন অত্যন্ত কর্ম তৎপর।’

অপরদিকে ড. জিনাত হুদা জোর গলায় বলেন, ‘যারা ভোট বর্জন করবে, জনগণই তাদের বর্জন করবে। বর্তমান সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচব সম্ভব। দু-চারজনের মদদে নির্বাচন বাতিল হবে, সেটা সম্ভব না। জনগণই চয়েস করবে এবং আগুন সন্ত্রাস দিয়ে জনগণের মতামত ও ভোট আটকে রাখতে পারবে না।’

গোলটেবিল বৈঠকে আলোচকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- সাবেক আইজিপি নুরুল হুদা, সিনিয়র সাংবাদিক মাসুদ কামাল, আবু সাঈদ খান, নঈম নিজাম, ড. সাদেকা হালিম, ড. হাসান মাহমুদ খন্দকার, আশরাফ উদ্দিন চুন্নু, আবুল হোসেন চৌধুরী, সাবেক ক্রিকেটার রকিবুল হাসান, ফারুক ফয়সাল ও অবসরপ্রাপ্ত এয়ার কমোডর ইশফাক এলাহী চৌধুরীসহ সমাজের বিশিষ্টজনরা।

গোলটেবিল বৈঠকটি বেসরকারি টেলিভিশন ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সরাসরি সম্প্রচারিত হয়।

এ বিভাগের আরো খবর