বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

লুসির কণ্ঠে গান শুনলেন শেখ রেহানা

  •    
  • ২৯ ডিসেম্বর, ২০২৩ ২২:৩০

বরিশালে অক্সফোর্ড মিশনের ফাদার জন জানান, শুক্রবার দুপুর সোয়া ১টার দিকে ফুল ও ফল নিয়ে মিশনে আসেন জাতির পিতার ছোট মেয়ে শেখ রেহানা। আড়ম্বরপূর্ণ কোনো আয়োজন নয়, মূলত লুসি হল্টের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতেই সেখানে যান শেখ রেহানা।

বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের নাগরিক লুসি হেলেন ফ্রান্সিস হল্টের মানবিক আদর্শ আমাদের সবার ধারণ করা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন শেখ রেহানা। মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় লুসি হল্ট বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সপক্ষে যেসব চিঠি লিখেছিলেন তা সংরক্ষণ করা উচিত বলেও মনে করেন বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ কন্যা।

লুসিকে দেখতে শুক্রবার বরিশালে অক্সফোর্ড মিশনে যান। এ সময় তার শারীরিক অবস্থার খোঁজ-খবর নেন তিনি।

অক্সফোর্ড মিশনের ফাদার জন জানান, দুপুর সোয়া ১টার দিকে তাদের মিশনে ফুল ও ফল নিয়ে আসেন জাতির পিতার ছোট মেয়ে শেখ রেহানা। তার আগমনের খবর দুদিন আগে থেকেই জানতেন তারা। এজন্য রং করে, পতাকা স্ট্যান্ড টাঙিয়ে নতুন সাজে সাজানো হয় লাইব্রেরি হল ও প্রবেশপথ।

আড়ম্বরপূর্ণ কোনো আয়োজন নয়, মূলত লুসি হল্টের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতেই সেখানে যান শেখ রেহানা।

সেখানে উপস্থিত ছিলেন মিশনের ফাদার ফ্রান্সিস, ফাদার জন, সিস্টার মার্গারেট, সিস্টার শেফালী, সিস্টার শিখা, চার্চের ম্যানেজার রিচার্ড রতন হালদার এবং লুসি হল্টের জীবনী নিয়ে প্রথম ধারাবাহিক অনুসন্ধানী প্রতিবেদন করা সাংবাদিক অপূর্ব অপু ও অপসোনিন ফার্মার প্রকল্প সমন্বয়ক সমাজসেবক রফিকুর রহমান।

রফিকুর রহমান জানান, দুপুর সোয়া ১টার দিকে হলরুমে ঢুকেই বঙ্গবন্ধু-কন্যা লুসি হল্টের কাছে গিয়ে ফুল দিয়ে তাকে শুভেচ্ছা জানান। লুসির পাশের চেয়ারে বসে অনেক মমতা নিয়ে লুসি হল্টের হাত ধরে কুশলাদি বিনিময় করেন। নিজে চেয়ার থেকে উঠে সংক্ষিপ্ত সভায় অংশ নেয়া ৮ জনের প্রত্যেকের কাছে গিয়ে বঙ্গবন্ধু-কন্যা পরিচিত হন, সবার খোঁজ-খবর নেন।

এ সময় বরিশালের নানা স্মৃতিচারণ করেন শেখ রেহানা।

লুসি হল্টকে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব দেয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানায় অক্সফোর্ড মিশন কর্তৃপক্ষ।

প্রাণবন্ত ওই সভায় শেখ রেহানা গান শোনার আবদার করেন লুসি হল্টের কাছে। লুসিও গান শোনান পরম কৃতজ্ঞতা নিয়ে। কাজী নজরুল ইসলামের ‘নাচ ময়ূরী নাচরে’ গানটি শোনেন শেখ রেহানা। এ সময় লুসির কণ্ঠে কণ্ঠ মেলান বঙ্গবন্ধু-কন্যা। পরে অক্সফোর্ড মিশনে গির্জার ভেতরে যান শেখ রেহানা। কিছু সময় প্রভু যীশুর গির্জা ঘর ঘুরে দেখেন এবং অক্সফোর্ড মিশনের ইতিহাস শোনেন। এক পর্যায়ে সবার সঙ্গে ছবি তোলেন শেখ রেহানা। পরে তিনি সেখান থেকে বের হয়ে সার্কিট হাউজে চলে যান।

প্রসঙ্গত, ব্রিটিশ নাগরিক লুসি হল্টের মহান মুক্তিযুদ্ধে অবদান ও দেশের বিভিন্ন প্রান্তে জনকল্যাণকর কাজ নিয়ে ২০১৬ সালে ধারাবাহিক অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে আলোচনায় আসেন তিনি। লুসির একমাত্র চাওয়া ছিলো বাংলাদেশের নাগরিকত্ব। এমন খবর পৌঁছে যায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে।

লুসি হল্টের প্রত্যাশা অনুযায়ী ২০১৮ সালে প্রথমে ভিসা ফি মওকুফযুক্ত পাসপোর্ট হস্তান্তর এবং পরে গণভবনে নিয়ে গিয়ে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব দেয়া হয়।

এ বিভাগের আরো খবর