আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতা হারানোর ভয়ে সুষ্ঠু নির্বাচন করতে চায় না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আব্দুল মঈন খান।
শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) দ্বি-বার্ষিক কাউন্সিলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
মঈন খান বলেন, ‘বাংলাদেশে এখন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগ পরাজিত হবে। তাই তারা সুষ্ঠু নির্বাচন করতে ভয় পাচ্ছে। এ কারণেই তারা একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের আয়োজন করছে না। আর এটাই প্রধান কারণ, যে যাই বলুক না কেন।’
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ জনগণের শক্তিতে বিশ্বাস করলে সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনকে কেন এত ভয় পায়- এমন প্রশ্ন তোলেন বিএনপির এই নেতা।
বিএনপির এই নেতা বাংলাদেশের জনগণের চরিত্র ও মনস্তাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্য বুঝে রাজনীতি করার জন্য ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘এবার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে নির্বাচন করুন, তাহলে দেখবেন আগামী সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনে বাংলাদেশের জনগণ আবারও আনন্দের সঙ্গে আপনাদের ভোট দেবে।’
মঈন খান মনে করেন, রাজনৈতিক সংকট নিরসনে দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ করা এবং দেশে একটি বিশ্বাসযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের পথ খুঁজে বের করার সময় এখনও আছে।
সরকারকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, ‘৭ জানুয়ারি এখনও অনেক দূরে...। এই সহিংস সংঘর্ষের রাজনীতি থেকে বেরিয়ে আসার জন্য আলোচনা করুন। আপনারা সরকারে আছেন বলে আমি আপনাদের অনুরোধ করছি। মূল সিদ্ধান্ত নেয়া আপনাদের দায়িত্ব।
‘দেশের স্বার্থে ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য রাজনৈতিক দলগুলোকে সংঘাত এড়িয়ে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের নীতিতে ফিরতে হবে।
বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, ‘দেশের জনগণের কাছে সরকারকে জবাবদিহি করতে গণমাধ্যম অত্যন্ত শক্তিশালী ভূমিকা পালন করতে পারে।
‘সংবাদপত্রকে বলা হয় রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ। আধুনিক বিশ্বে সংবাদপত্র খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যারা দেশ চালাচ্ছেন তাদের জনগণের কাছে জবাবদিহি করানোটাই গণমাধ্যমের প্রধান দায়িত্ব। এ কারণে বিশ্বের সব সরকার মিডিয়াকে ভয় পায়।
‘গণমাধ্যম সরকারের চেয়ে বেশি শক্তিশালী। কারণ তারা তাদের কলম দিয়ে যেকোনো সরকারের পতন নিশ্চিত করতে পারে।’
তিনি সংবাদপত্রের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে সাংবাদিকদের নিজেদের মধ্যে বিভেদ ও সংঘাত দূর করে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।