গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা ও ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে নারীসহ ২০ জন আহত হয়েছেন। এ সময় ৩টি দোকান ও ৮টি বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় মোচনা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এমদাদ মোল্লাকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।
শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত ঘণ্টাব্যাপী উপজেলার মোচনা ইউনিয়নের শুয়াশুর গ্রামে এ সংর্ষের ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় আহতদের মুকসুদপুর ও ফরিদপুর হাসপাতালসহ বিভিন্ন বেসরকারি ক্লিনিকে নিয়ে চিকিৎসা দেয়া হয়।
স্থানীয়দের বরাতে পুলিশ জানায়, উপজেলার মোচনা ইউনিয়েনর শুয়াশুর গ্রামে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মুহাম্মদ ফারুক খান ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. কাবির মিয়ার ঈগল প্রতীকের সমর্থকদের মধ্যে শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টা দিকে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়। এ ঘটনা এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে উভয় পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এ সংঘর্ষে উভয় পক্ষের নারীসহ অন্তত ২০ জন আহত হন। এ সময় সংঘর্ষকারীরা ৩টি দোকান ও রাজ্জাক শেখ, মারুফ শেখ, নওসার শেখ, রবিউল শেখের বাড়িসহ ৮টি বাড়িঘরে ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে গুরুতর আহত ৩৫ বছর বয়সী রুবেল শেখ, ৬৫ বছর বয়সী ফিরোজ শেখ, ৩০ বছর বয়সী বিপ্লব শেখ, ৩৫ বছর বয়সী শামীম শেখ, ৩০ বছর বয়সী রসুল শেখ, ২২ বছর বয়সী তানিয়া আক্তার, ৫০ বছর বয়সী কাদু শেখসহ অন্তত ২০ জনকে মুকসুদপুর ও ফরিদপুরের হাসপাতাল ও ক্লিনিকে চিকিৎসা দেয়া হয়।
মুকসুদপুর থানার ওসি মোহাম্মাদ আশরাফুল আলম জানান, নৌকা ও ঈগল প্রতীকের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য প্রথমে মোচনা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এমদাদ মোল্লাকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয় এবং পরে তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।