বরিশালে নির্বাচনি জনসভায় ভাষণ দিতে মঞ্চে উঠেছেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা। দীর্ঘ প্রায় পাঁচ বছর পর বরিশাল সফরে গিয়েছেন তিনি।
বোন শেখ রেহানাকে নিয়ে শুক্রবার বেলা পৌনে ৩টার দিকে নগরীর বঙ্গবন্ধু উদ্যানের জনসভার মঞ্চে উঠেন শেখ হাসিনা।
এর আগে দুপুর ১টার দিকে বরিশালে পৌঁছে সার্কিট হাউজে অবস্থান তিনি।
জনসভা সফলের জন্য গঠিত কমিটির সদস্য বলরাম পোদ্দার বলেন, ‘জুমার নামাজের পর জনসভা শুরু করা হয়। জনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিকেল তিনটার মধ্যে তিনি মঞ্চে উঠেন। সন্ধ্যার আগে জনসভা শেষ করার লক্ষ্য নেয়া হয়েছে।’
আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের দাবি জনসভায় প্রায় ১০ লাখ লোক সমাগম হবে। জনসভা সফলে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।
এদিকে সভানেত্রীর আগমনকে কেন্দ্র করে বরিশাল নগরী সেজেছে নবরূপে।
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তালুকদার মো. ইউনুস জানান, নগরীর প্রবেশদ্বার থেকে শুরু করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সম্ভাব্য সব চলার পথ পরিচ্ছন্ন ও সংস্কার করা হয়েছে। বসানো হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা বেষ্টনী।
তিনি বলেন, ‘এই মুহূর্তে সবাই খুবই ব্যস্ততার মধ্যে রয়েছে। আমরা প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতে বরিশালের প্রতিটি আসন তাকে উপহার দিতে চাই।’
সরেজমিনে দেখা যায়, নগরীতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর জনসভা সম্পর্কে সাধারণ মানুষকে অবহিত করা হচ্ছে। প্রতিটি পাড়া-মহল্লায় চলছে মাইকিং ও লিফলেট বিতরণ। বরিশাল জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের ব্যানারেও চলছে জনসভা সফল করার জন্য লিফলেট বিতরণ ও মাইকিং।
বলরাম পোদ্দার বলেন, ‘জনসভায় সভাপতিত্ব করবেন বরিশাল-১ আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ। সভায় অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখবেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আফম বাহাউদ্দিন নাসিম।’
দলীয় সূত্রে জানা যায়, এর আগে সর্বশেষ ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা একই স্থানে মহানগর আওয়ামী লীগের এক জনসভায় ভাষণ দিয়েছিলেন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী দেশের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি জেলায় জনসভা করছেন। তারই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার বরিশাল সফর করছেন তিনি।
বরিশাল মহানগর পুলিশ কমিশনার জিহাদুল কবির জানান, প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে নগরজুড়ে চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়েছে। পুলিশ, গোয়েন্দা পুলিশ, টহল পুলিশসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন মাঠে রয়েছে। নগরে বৃদ্ধি করা হয়েছে পুলিশের টহল। সাদা পোশাকে মোতায়েন করা হয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের।ব
এ ছাড়া জনসভা মঞ্চ ও আশপাশের এলাকায় স্থাপন করা হয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরা। বিজিবি টহলও জোরদার করা হয়েছে বলে জানান তিনি।