আসন্ন সেচ মৌসুমে বিদ্যুতের চাহিদা বাড়তে পারে বলে আন্তমন্ত্রণালয় পর্যালোচনা সভায় জানানো হয়েছে।
রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা বাসসের প্রতিবেদনে জানানো হয়, সেচ পাম্পগুলোতে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের লক্ষ্যকে সামনে রেখে বিদ্যুৎ ভবনে বৃহস্পতিবার ওই সভা হয়, যাতে ১৭টি সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে সেচ মৌসুম শুরু হবে, যা এপ্রিল পর্যন্ত চলবে।
সভায় জানানো হয়, গত সেচ মৌসুমে এপ্রিল মাসে বিদ্যুতের সর্বোচ্চ চাহিদা ছিল ১৬ হাজার মেগাওয়াট। আসন্ন সেচ মৌসুমে বিদ্যুতের সামগ্রিক চাহিদা ১৭ হাজার ৮০০ মেগাওয়াট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এতে উল্লেখ করা হয়, বর্তমানে মোট সেচ সংযোগের সংখ্যা ৪ লাখ ৮৭ হাজার ৮৫১টি। অপেক্ষমাণ আবেদন ৯ হাজার ৪৩২টি। শুধু সেচের জন্য জানুয়ারিতে ৩৪৭ মেগাওয়াট, ফেব্রুয়ারিতে ৮৬৫ মেগাওয়াট, মার্চে ১ হাজার ৯৪৯ মেগাওয়াট, এপ্রিলে ২ হাজার ৫৯০ মেগাওয়াট, মেতে ২ হাজার ৫৯০ মেগাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদা রয়েছে।
আসন্ন সেচ মৌসুমে গ্যাসের বর্ধিত চাহিদা ১ হাজার ৭৬০ এমএমসিএফডি এবং ন্যূনতম ১ হাজার ৫৪০ এমএমসিএফডি হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ ছাড়া ফার্নেস অয়েলের চাহিদা ১ লাখ ৫৪ হাজার ৯৫০ টন এবং ডিজেলের চাহিদা ১৫ হাজার ৬০০ মেট্রিক টন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
জ্বালানি বিভাগ জানিয়েছে, ফার্নেস অয়েল ও ডিজেলের কোনো ঘাটতি নেই এবং চাহিদা মোতাবেক সরবরাহ করা হবে।
আন্তমন্ত্রণালয় সভায় উপস্থিত ছিলেন জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগের সচিব মো. নূরুল আলম, পিডিবির চেয়ারম্যান মো. মাহবুবুর রহমান, পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্র নাথ সরকার, পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসাইন, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ, রেলপথ মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি এবং বিদ্যুৎ ও জ্বালানি বিভাগের আওতাধীন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের দপ্তর প্রধানরা।