গার্মেন্টস সেক্টর বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ একটি সেক্টর উল্লেখ করে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ‘এই সেক্টরের শ্রমিকদের সঠিক কর্মপরিবেশ নিশ্চিতে কাজ করছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। সুন্দর কর্মপরিবেশে কর্মীরা তাদের শ্রমের বিনিময়ে সঠিক মজুরি পেলে আমরা গর্ব করে বলতে পারব যে, আমরা শ্রমের সঠিক মূল্যায়ন করি। যাতে অন্যায়ভাবে কেউ আমাদের কোনো কথা বলতে না পারে।’
বৃহস্পতিবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জের আদমজী ইপিজেডে উর্মি গ্রুপের ইউএইচএম লিমিটেড নামের কারখানা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
এ সময় কারখানায় কর্মরত শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলেন কামাল উদ্দিন আহমেদ। শ্রমিকদের কর্মপরিবেশের পাশাপাশি কারখানাটির ক্যান্টিন, মেডিক্যাল সেন্টার, চাইল্ড কেয়ার কক্ষ ঘুরে দেখেন তিনি। এ সময় শ্রমিকরা পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছেন কি না, নতুন নির্ধারিত মজুরি নিয়ে তাদের কোনো আপত্তি আছে কি না- এসব বিষয়ে তিনি খোঁজখবর নেন।
পরে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘মানুষের অধিকার নিয়ে কাজ করে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। মানুষের অধিকার নিশ্চিত করার জন্য আমরা বিভিন্ন ক্ষেত্রে কাজ করি। গার্মেন্টস সেক্টর আমাদের জন্য একটি গর্বের সেক্টর। কারণ বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জনে এটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সেক্টরগুলোর একটি। শ্রমিক ভাই-বোনেরা দিনরাত পরিশ্রম করে যে পোশাক তৈরি করছেন, তা বিদেশে যাচ্ছে, বদলে আমরা বৈদেশিক মুদ্রা পাচ্ছি। যারা এ কাজগুলো করছেন তারা প্রকৃতপক্ষেই তাদের শ্রমের স্বীকৃতি পাচ্ছে কি না, তাদের কল্যাণের বিষয়টি দেখা হচ্ছে কি না, কর্মস্থলে সুযোগ-সুবিধা পর্যাপ্ত আছে কি না- সেটাই আমাদের দেখার বিষয় ছিল।’
মানবাধিকার কমিশন চেয়ারম্যান বলেন, ‘কারখানাটিতে শ্রমিকদের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। তারা সময়মতো বেতন ও পর্যাপ্ত সুবিধা পাচ্ছে বলে জানিয়েছেন। আমরা আশা করি, আমাদের গর্বের গার্মেন্টস সেক্টরে সুন্দর কর্মপরিবেশ বিরাজ করুক। শ্রমিকদের অধিকারগুলো যেন পরিপূর্ণ থাকে।’
এক প্রশ্নের জবাবে কামাল উদ্দিন বলেন, ‘সব কারখানার পরিবেশ এক নয়, এর সঙ্গে আমরা একমত। সেটা দেখার জন্য অন্যান্য কারখানাগুলোর কর্মপরিবেশ দেখতে গিয়েছি, ভালো পরিবেশ পেয়েছি। আমরা আরও যাব, আমরা শ্রমিকদের অধিকার নিশ্চিতে কাজ করব।’
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- কমিশনের সার্বক্ষণিক সদস্য সেলিম রেজা, শিল্প পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান, নারায়ণগঞ্জ-৪-এর শিল্প পুলিশ সুপার শারমিন আক্তার, ইউএইচএম লিমিটেড কারখানার সহকারী মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ আশিফুল কবির প্রমুখ।