বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

চক্রান্ত চলছে, ভোটের পরিবেশ সুষ্ঠু রাখতে হবে: শেখ হাসিনা

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ২৮ ডিসেম্বর, ২০২৩ ১৯:২১

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘বিএনপি সন্ত্রাসী আর জামায়াত যুদ্ধপরাধীদের দল। এরা নির্বাচনে না এলে ভোট অংশগ্রহণমূলক হবে না- এটা আমরা বিশ্বাস করি না। নির্বাচন উন্মুক্ত করতে দিয়েছি। ভোটারদের অংশগ্রহণেই নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হয়ে যাবে।’

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জনগণ যাকে ভোট দেবে তাকেই মেনে নিতে দলীয় নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, ‘দেশ-বিদেশে অনেক চক্রান্ত চলছে; ভোটের পরিবেশ সুষ্ঠু রাখতে হবে। কেউ গোলযোগ করবেন না। নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হতে হবে।’

বৃহস্পতিবার ছয়টি জেলায় আওয়ামী লীগের নির্বাচনী জনসভায় যুক্ত হয়ে সংগঠনের নেতাকর্মীদের এ‌ই নির্দেশনা দেন দলীয় প্রধান। তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয় থেকে এসব জেলার সঙ্গে জনসভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হন তিনি।

এদিন ময়মনসিংহ বিভাগের জামালপুর ও শেরপুর জেলা, ঢাকা বিভাগের কিশোরগঞ্জ ও নরসিংদী জেলা এবং চট্টগ্রাম বিভাগের চাঁদপুর ও বান্দরবান জেলায় আওয়ামী লীগের এই নির্বাচনী জনসভা হয়।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘এবারের নির্বাচন নিয়ে জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে অনেক চক্রান্ত হচ্ছে। তাই নির্বাচনী পরিবেশটা যেন সুন্দর থাকে, নির্বাচন যেন উৎসবমুখর ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হয় সেদিকে সবাই খেয়াল রাখবেন।

‘বিএনপি সন্ত্রাসী আর জামায়াত যুদ্ধপরাধীদের দল। এরা নির্বাচনে না এলে ভোট অংশগ্রহণমূলক হবে না- এটা আমরা বিশ্বাস করি না। নির্বাচন উন্মুক্ত করতে দিয়েছি। ভোটারদের অংশগ্রহণেই নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হয়ে যাবে। শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখবেন। জনগণ যাকে চাইবে, তাকেই মেনে নেবেন সবাই।’

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াতের কাজই হলো মানুষ পোড়ানো আর ধ্বংস করা। নির্বাচিত সরকার, গণতান্ত্রিক সরকার ধারাবাহিকভাবে ২০০৮ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত আছে বলেই দেশ উন্নত হয়েছে। আগে যারা ক্ষমতায় ছিল, তারা তো এক কদমও এগুতে পারেনি। তারা দেশকে পিছিয়ে দিয়েছিল।’

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে আওয়ামী লীগের নির্বাচনি ইশতেহার সব প্রার্থীকে পড়ে নেয়ার নির্দেশনা দেন দলের প্রধান। তিনি বলেন, নির্বাচনি ইশতেহার পড়ে নেবেন এবং সে অনুযায়ী ভোট চাইবেন।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘পঁচাত্তরের পর অবৈধ ক্ষমতা বৈধ করার জন্য জনগণের অধিকার কেড়ে নেয়ার সংস্কৃতি চালু করেছিল জিয়াউর রহমান। তখন স্বাধীনতাবিরোধীদের সমন্বয়ে মুক্তিযুদ্ধের বিপরীত ধারায় চলতে থাকে দেশ।

‘২০০১ সালে গ্যাস বিক্রির চক্রান্ত করে ক্ষমতায় এসে মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলে বিএনপি। তারা এখনও নির্বাচনবিরোধী কাজ করে চলেছে। ট্রেনে আগুন দিয়ে মা-শিশুকে এমনভাবে পুড়িয়ে হত্যা সহ্য করা যায় না। এরা সবসময় নির্বাচন বানচালের তালে থাকে। কিন্তু নির্বাচিত সরকার ছাড়া দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করা সম্ভব হয় না, এটাই বাস্তবতা।’

২০১৪ থেকে ২০১৮ সালে মানুষ ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগকে সমর্থন করেছিল বলেই দেশের উন্নয়ন সম্ভব হচ্ছে বলে জানান শেখ হাসিনা। একই ধারাবাহিকতায় আগামী নির্বাচনেও জনগণ ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগকে বিজয়ী করবে বলে আশা প্রকাশ করেন বঙ্গবন্ধু-কন্যা।

ভোটারদের উদ্দেশে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগকে জয়যুক্ত করে উন্নত-সমৃদ্ধ জীবনের ধারা অব্যাহত রাখুন, যেন দেশকে আরও এগিয়ে নেয়া যায়। জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে আওয়ামী লীগ আবারও মানুষের সেবা করার সুযোগ পাবে, সেটাই প্রত্যাশা।

এ বিভাগের আরো খবর