বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পার্লারে গোপন ক্যামেরা, ৩ জন কারাগারে

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ২৮ ডিসেম্বর, ২০২৩ ১৮:৫৫

ভুক্তভোগী এক নারীর অভিযোগে ধানমন্ডি সাত মসজিদ রোডে ‘উইমেন্স ওয়ার্ল্ড’ বিউটি পার্লারে অভিযান চালিয়ে ক্যামেরা ও সেবাগ্রহীতাদের পোশাক পরিবর্তনের বেশকিছু ভিডিও জব্দ করে পুলিশ। এ সময় তিনজনকে আটক করা গেলেও প্রতিষ্ঠানটির দুই মালিক পালিয়ে যান।

রাজধানীর ধানমন্ডিতে ‘উইমেন্স ওয়ার্ল্ড’ নামে একটি বিউটি পার্লারে গোপনে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করে আগত সেবা গ্রহীতাদের আপত্তিকর ভিডিও ধারণ ও সংরক্ষণের অভিযোগে তিনজনকে আটক করা হয়েছে।

আটক তিন ব্যক্তি হলেন- পারলারের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) তসলিম আরিফ ওরফে ইলিয়াস, প্রশাসনিক কর্মকর্তা ইমাদুল হাসান ও তথ্যপ্রযুক্তি কর্মকর্তা এম এইচ জুয়েল খন্দকার।

ভুক্তভোগী এক নারীর অভিযোগে মঙ্গলবার ধানমন্ডি সাত মসজিদ রোডে ওই বিউটি পার্লারে অভিযান চালিয়ে ক্যামেরাসহ একাধিক পোশাক পরিবর্তনের ভিডিও জব্দ করে পুলিশ। এ সময় তিনজনকে আটক করা হয়।

তবে পুলিশের অভিযানের খবর পেয়ে ওই বিউটি পারলারের মালিক তাসলিমা চৌধুরী কনা আলম ও ফারনাস আলম পালিয়ে যান।

পরে এ বিষয়ে পাঁচজনকে আসামি করে মামলা করা হয়। গ্রেপ্তার তিনজনকে বুধবার আদালতে হাজির করলে তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কারাগারে আটক রাখার আদেশ দেয় আদালত।

মামলা সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ভুক্তভোগী এক নারীর অভিযোগে ধানমন্ডি থানা পুলিশ উইমেন্স ওয়ার্ল্ড নামের ওই বিউটি পার্লারে অভিযান চালায়। সেখান থেকে আটটি সিসিটিভি ক্যামেরা ও ক্যামেরার ডিভিআর জব্দ করে পুলিশ।

এ ঘটনায় ধানমন্ডি থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) একরামুল হক বাদী হয়ে উইমেন্স ওয়ার্ল্ডের দুই মালিকসহ পাঁচজনের নামে মামলা করেন। মামলায় পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১২ এর ৪ ধারায় অভিযোগ আনা হয়।

এদিকে বুধবার গ্রেপ্তার তিনজনকে আদালতে হাজির করে মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা।

আবেদনে বলা হয়, ধানমন্ডির সাতমসজিদ রোডের ৮০ নম্বর বাড়ির তৃতীয় তলায় উইমেন্স ওয়ার্ল্ড নামের একটি বিউটি পার্লারে কৌশলে সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে পার্লারে আগত বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার নারীদের পোশাক পরিবর্তন, ম্যাসাজ রুমে গোপনে স্পর্শকাতর ভিডিও ধারণ ও সংরক্ষণ করে রাখা হতো। পার্লারে অভিযান চালিয়ে সেখান থেকে ৮টি সিসি ক্যামেরা ও কালো রঙের দুটি ডিজিটাল ভিডিও রেকর্ডার জব্দ করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা এসব বিষয়ে সংশ্লিষ্টতা স্বীকার করেছেন।

বৃহস্পতিবার ধানমন্ডি অঞ্চলের জ্যেষ্ঠ সহকারী কমিশনার মো. আবু তালেব জানান, গ্রেপ্তার তিনজনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। পলাতক দুই আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

এ বিভাগের আরো খবর