রাজধানীর গুলশান থানায় করা নাশকতার মামলায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত মেজর হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, অবসরপ্রাপ্ত এয়ার ভাইস মার্শাল আলতাফ হোসেন চৌধুরী ও অবসরপ্রাপ্ত মেজর মো. হানিফকে আলাদা দুই ধারায় এক বছর ৯ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরী বৃহস্পতিবার এ রায় ঘোষণা করেন বলে বার্তা সংস্থা ইউএনবির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
রায়ে আদালত বলে, সাজার ক্ষেত্রে আসামিদের বয়স ও শারীরিক অসুস্থতা বিবেচনায় নেয়া হয়।
এক ধারায় তাদের তিন মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়। আরেক ধারায় দেড় বছর কারাদণ্ডের পাশাপাশি তাদের পাঁচ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও এক মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
মামলার বাকি পাঁচ আসামিকে আলাদা দুই ধারায় সাড়ে তিন বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। তারা হলেন এমএ আউয়াল খান, রাসেল, মইনুল ইসলাম, বাবুল হোসেন ওরফে বাবুল ও আলমগীর বিশ্বাস ওরফে রাজু।
একটি ধারায় তাদের তিন বছর করে কারাদণ্ড, পাঁচ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড, অনাদায়ে এক মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। আরেক ধারায় দেয়া হয় ছয় মাসের কারাদণ্ড।
মামলায় অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ায় খালাস পেয়েছেন ১১ জন। তারা হলেন এম এ কাইয়ুম ওরফে কাইয়ুম কমিশনার, দুলাল, তোফায়েল আহমেদ ওরফে লিটন, জাহাঙ্গীর শিকদার, আরিফুল ইসলাম, বেলাল হোসেন, শামসুল হক মিয়াজী, বিপ্লব, খুরশীদ আলম মমতাজ, মোশারফ হোসেন ও মাহবুব।
আসামিপক্ষের আইনজীবী জিয়া উদ্দিন জিয়া সাজার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, আসামিরা ২০১১ সালের ৪ জুন গুলশান থানাধীন মহাখালী ওয়ারলেস গেট পানির ট্যাংকির সামনে রাস্তার ওপর অবৈধ সমাবেশ থেকে পুলিশের কাজে বাধা দেন এবং তাদের ওপর আক্রমণ করেন। এ ছাড়া রাস্তায় চলাচলরত গাড়ি ভাঙচুর ও সেগুলোতে আগুন ধরিয়ে দেন আসামিরা।
২০১৪ সালের ২৯ এপ্রিল মামলাটি তদন্তের পর গুলশান থানার উপপরিদর্শক কামরুল হাসান তালুকদার আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। ২০২২ সালের ২৫ এপ্রিল এ মামালায় আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেয় আদালত।
মামলার বিচার চালাকালীন আদালত ১২ সাক্ষীর মধ্যে সাতজনের সাক্ষ্যগ্রহণ করে।