নির্বাচনি প্রচারকালে নৌকার প্রার্থী সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দারের সমর্থকদের দ্বারা হত্যাচেষ্টা ও হামলার ঘটনায় নিজের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় শিল্প ও বাণিজ্যবিষয়ক উপকমিটির সদস্য দিলীপ কুমার আগরওয়ালা।
মঙ্গলবার জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে চুয়াডাঙ্গার দুটি আসনের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের নিয়ে আচরণবিধিবিষয়ক মতবিনিময় সভায় ওই শঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি। এ ছাড়া নৌকার প্রার্থীর কর্মীদের বিরুদ্ধে ঈগল প্রতীকের পোস্টার ছেঁড়া ও হামলার অভিযোগ করেন দিলীপ কুমার।
সভায় রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে দিলীপ কুমার আগরওয়ালা অভিযোগ করে বলেন, ‘গত শনিবার রাতে হামলার ঘটনায় আমি খুবই শঙ্কিত। যেকোনো সময় আমার ওপর হামলা হতে পারে। ওই রাতে বসুভাণ্ডারদহের ঘটনায় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার কারণে কোনো বড় ধরনের ঘটনা ঘটেনি। আমার দেহরক্ষী থাকলেও ২১ ডিসেম্বরের পর অস্ত্র বহন করতে পারছি না। অন্য জেলায় প্রার্থীদের নিরাপত্তায় পুলিশি সহায়তা দেয়া হচ্ছে। এখানে আমার বিষয়টি বিবেচনা করার অনুরোধ করছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমার পোস্টার-ব্যানার ছেঁড়া হচ্ছে। বিভিন্ন স্থানে আমার কর্মীদের হুমকি দেয়া হচ্ছে। অনেক জায়গায় পোস্টার লাগাতে দেয়া হচ্ছে না। ওই ঘটনায় থানায় সাধারণ ডায়েরি, অভিযোগ ও মামলা করা হয়েছে।’
এ সময় রিটার্নিং কর্মকর্তা ও পুলিশ প্রশাসন আইনগত ব্যবস্থা নেবেন বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন দিলীপ কুমার। সভায় দিলীপ কুমার আগরওয়ালা ছাড়াও কয়েকজন স্বতন্ত্র প্রার্থী তাদের কর্মীদের ওপর হামলা ও ব্যানার-পোস্টার ছেঁড়ার অভিযোগ করেন।
জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং অফিসার ড. কিসিঞ্জার চাকমা বলেন, ‘অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিতে মাঠে কাজ করছে প্রশাসন। কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।’
উল্লেখ্য, গত শনিবার রাতে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বসুভাণ্ডারদহ এলাকায় নির্বাচনি প্রচারণার সময় চুয়াডাঙ্গা-১ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ঈগল প্রতীকের দিলীপ কুমার আগরওয়ালা ও তার কর্মীদের ওপর হামলার অভিযোগ ওঠে নৌকার প্রার্থী সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দারের সমর্থকদের বিরুদ্ধে। এ সময় দিলীপ কুমারকে গুলি করে হত্যা চেষ্টা করা হয় বলেও অভিযোগ করা হয়। ওই ঘটনায় রাতে স্বতন্ত্র প্রার্থীর প্রতিনিধি আব্দুল মালেক বাদী হয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলী হাসানুজ্জামান মানিককে প্রধান আসামি করে ২১ জনের নাম উল্লেখসহ ১২০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা করেন। ওই ঘটনায় চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকসহ নৌকা প্রার্থীর ৫ সমর্থককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পরে গত রোববার ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে পাল্টা মামলা করেন নৌকার সমর্থক হাসেম আলী।