বৃহত্তর উন্নয়নের জন্য শান্তি ও স্থিতিশীলতার গুরুত্ব তুলে ধরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, ‘আমরা এই অঞ্চলে কোনো প্রক্সি ওয়ার দেখতে চাই না। ইউরোপ প্রক্সি যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছে এবং চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বুধবার এমনটা মন্তব্য করে সাংবাদিকদের বলেন, ‘এই অঞ্চলের দেশগুলোকে দুর্বল করার প্রচেষ্টা হতে পারে। বাংলাদেশ এ অঞ্চলে নেতৃত্বের ভূমিকা পালন করেছে এবং অন্যান্য দেশ তা স্বীকার করেছে। এটা আমাদের জন্য ভালো।’ সূত্র: ইউএনবি
জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়ার মতো দেশগুলোর নাম উল্লেখ করে ড. মোমেন বলেন, ‘এসব দেশ এ অঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হিসেবে আবির্ভূত হচ্ছে।’
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে বাইরের চাপ সম্পর্কিত এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা কখনও কোনো চাপ অনুভব করিনি। তবে আমরা নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে চাই।’
ভারত, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘তারা বাংলাদেশের বন্ধু ও উন্নয়ন অংশীদার। এসব দেশের সঙ্গে আমাদের দীর্ঘদিনের সম্পর্ক রয়েছে। তাদের সঙ্গে আমাদের বহুমুখী সম্পর্ক রয়েছে।’
‘একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে পাকিস্তানের পক্ষ নিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জনের পর থেকেই বাংলাদেশকে সমর্থন দিতে শুরু করে তারা।’
ড. মোমেন বলেন, ‘স্বাধীনতার পর থেকে আমরা ভারতের সঙ্গে খুব ভালো সম্পর্ক বজায় রেখেছি। দুই দেশ পারস্পরিক সম্পর্কের একটি সোনালি অধ্যায়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নও (ইইউ) আমাদের একটি বড় বাজার।’
বিএনপি সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে ড. মোমেন বলেন, ‘এটি গণতান্ত্রিক দল নয়, সন্ত্রাসীদের দল। যদিও তারা গণতন্ত্রের কথা বলে। সন্ত্রাসীদের কেউ পছন্দ করে না। তাদের পরিপক্বতার অভাব রয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘যারা নির্বাচনে বাধা দেয়ার চেষ্টা করছে তাদের বিরুদ্ধে ভিসা নীতি প্রয়োগ করে যুক্তরাষ্ট্রের এগিয়ে আসা উচিত এবং প্রতিশ্রুতি রক্ষা করা উচিত। আমি খুব খুশি হবো যদি তারা সত্যিকার অর্থেই যারা নির্বাচনে বিঘ্ন ঘটাবে তাদের জন্য ভিসা নীতি প্রয়োগ করে। তবে এটা তাদের ব্যাপার।’
তিনি বলেন, ‘আমরা দেশে গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখতে চাই এবং গণতন্ত্রের ধ্বংস চাই না। আমরা সন্ত্রাস চাই না। এটাই পশ্চিমা দেশগুলোর লক্ষ্য। আমরা তাদের সঙ্গে আছি।
‘বাংলাদেশ যে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে পারে তা আমরা দেখাতে চাই। আমরাই একমাত্র দেশ যেখানে মানুষ গণতন্ত্রের জন্য জীবন উৎসর্গ করেছে।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই এবং এবার নির্বাচন কমিশন খুবই শক্তিশালী।’
সবাইকে এগিয়ে এসে উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট দেয়ার আহ্বান জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।