দেশবাসীকে উদ্দেশ করে বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতা নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকারের অবৈধ ক্ষমতার মেয়াদ বাড়ানোর লক্ষ্যে আয়োজিত এই একতরফা ও ডামি নির্বাচনে অংশ না নেয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। আমরা আপনাদের বলছি, ভোট দিতে কেন্দ্রে যাবেন না। আপনাদের ভোট কোনো পরিবর্তন আনবে না।’
বুধবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।
আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্জনে বিএনপির আহ্বানে সমর্থন জানিয়ে বিএনপিপন্থী চিকিৎসকদের সংগঠন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশ (ড্যাব) এই কর্মসূচির আয়োজন করে।
মানববন্ধনে নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘আওয়ামী লীগ অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে জনগণের ভোট ও প্রতিনিধি নির্বাচনের অধিকার কেড়ে নিয়েছে। তারা আবারও পছন্দের প্রতিনিধি নির্বাচন করার অধিকার থেকে আমাদেরকে বঞ্চিত করার চেষ্টা করছে। এই একতরফা নির্বাচনের নামে অবৈধ ক্ষমতার মেয়াদ আরও পাঁচ বছর বাড়ানোই এই সরকারের কৌশল।
‘সরকার নির্বাচনের নামে খেলা করে দেশ ও জনগণের প্রতি অবিচার করছে। আমরা জনগণের প্রতি এই নির্বাচনের খেলা ও ভোট বর্জনের আহ্বান জানাচ্ছি।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, ‘আপনারা (জনগণ) এই সরকারকে সহযোগিতা করবেন না। তারা (সরকার) যা করতে পারে তা করুক। কিন্তু আপনারা তার অংশীদার হবেন না।
‘আপনারা যদি ডাকাতি রোধ করতে না পারেন তবে কমপক্ষে ডাকাতির সঙ্গে যুক্ত হবেন না এবং ডাকাতিতে সহযোগিতা করবেন না। আপনাদের কাছে এটাই আমাদের অনুরোধ। যে অন্যায় করে তাকে সাহায্য করাও ভুল। এজন্য আমরা আপনাদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি, আপনারা যেন শাসক গোষ্ঠীর অন্যায়ের অংশ না হন।’
গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনের উল্লেখ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘নির্বাচনে অংশ নেয়া প্রার্থীদের অধিকাংশই কোটিপতি। বাংলাদেশে এতো কোটিপতি কোথা থেকে আসে? এই কোটিপতি প্রার্থীদের অর্থের উৎস এবং তাদের আকস্মিক উত্থানের কারণ কী?’
তিনি বলেন, ‘গত ১৫ বছরে বিভিন্ন ব্যাংক থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট হয়েছে। সরকার জানে কারা এর পেছনে আছে। কিন্তু ক্ষমতাসীন দলের সদস্য হওয়ায় তাদের গ্রেপ্তার করা হবে না।’
কর্মসূচি শেষে নির্বাচন বর্জন আন্দোলনের পক্ষে জনসমর্থন আদায়ে বিএনপির তিন দিনব্যাপী গণসংযোগ কর্মসূচির অংশ হিসেবে পথচারীদের মাঝে লিফলেট বিতরণ করেন নজরুল ইসলাম খান।