বরিশাল-৫ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী সালাউদ্দিন রিপনের প্রচারণায় বাধা ও কর্মী-সমর্থকদের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে।
মঙ্গলবার বিকেলে বরিশাল সদর উপজেলার চরমোনাইয়ের বুখাইনগরে স্বতন্ত্র প্রার্থীর উঠান বৈঠকে এবং এর আগে দুপুরে বরিশাল নগরের বটতলা ও কাশিপুরেও হামলার ঘটনা ঘটে।
ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী সালাউদ্দিন রিপন জানান, প্রতিদিন তার কর্মীদের মারধর করা হচ্ছে। মাইক ভাংচুর করার পাশাপাশি প্রচারণায় বাধা দেয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, মঙ্গলবার চরমোনাই ইউনিয়নের বুখাইনগরে আওয়ামী লীগের সভাপতি নুর ইসলাম আমার ও আমার কর্মীদের ওপর চড়াও হয়েছেন। তারা আমাদের অপমান অপদস্ত করেছেন। আমি নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসনের কাছে এ বিষয়ে অভিযোগ দিয়েছি।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন চরমোনাই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি নুর ইসলাম। তিনি বলেন, সালাউদ্দিন রিপনের সাথে আমার দেখাই হয়নি। তাহলে তাকে উল্টা-পাল্টা কথা বলার প্রশ্নই আসে না।
এদিকে বুখাইনগরে সালাউদ্দিন রিপনের কর্মী-সমর্থকদের সাথে নৌকার কর্মী সমর্থকদের বাকবিতণ্ডা চলাকালে ছবি তুলতে গেলে তাতে বাধা দেয়ার ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় পত্রিকার চিত্র সাংবাদিকদের ক্যামেরা ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টাও করা হয় বলে জানিয়েছেন ঘটনাস্থলে থাকা গণমাধ্যমের কর্মীরা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বরিশাল-৫ আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী জাহিদ ফারুক শামীম সাংবাদিকদের বলেন, আমি ও আমার কোনো লোক মারামারির সাথে জড়িত না। যারা নৌকার বিপক্ষে দাঁড়িয়েছে বা নৌকাকে ঠকাতে ইন্ধন দিচ্ছে তারাই এসব কাজ করছে।
তিনি বলেন, সালাউদ্দিন রিপনকে রাজনীতির মাঠে কেউ চেনে না। সে নিজের নাম ছড়ানোর জন্য আমাকে টার্গেট করে বিভিন্ন গুজব ছড়াচ্ছে।