বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আওয়ামী লীগের নির্বাচনি ইশতেহারে যা থাকছে

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ২৬ ডিসেম্বর, ২০২৩ ২১:৪৬

রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলের গ্র্যান্ড বলরুমে বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় নির্বাচনি ইশতেহার উপস্থাপন করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। দলটি এই ইশতেহার তৈরির জন্য দেশের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের মতামত নিয়েছে।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে বুধবার ইশতেহার ঘোষণা করবে আওয়ামী লীগ। রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলের গ্র্যান্ড বলরুমে সকাল সাড়ে ১০টায় ইশতেহার উপস্থাপন করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

ইশতেহার ঘোষণার সূচি অনুযায়ী সকাল ৯টা থেকে ১০টায় অতিথিদের আসন গ্রহণের পর ১০টা ২৮ মিনিটে জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হবে। এরপর স্বাগত বক্তব্য দেবেন ইশতেহার প্রণয়ন কমিটির আহ্বায়ক ও দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রাজ্জাক।

এরপর দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বক্তব্য দেবেন। তার বক্তব্যের পর ভিডিও ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হবে।

সবশেষে অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্য এবং ইশতেহার উপস্থাপন করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দলীয় ইশতেহার তৈরির জন্য দেশের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের কাছ থেকে মতামত নিয়েছে আওয়ামী লীগ।

ইশতেহারে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়ন অভিযাত্রায় উন্নত, সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকারে কৃষি, সেবা ও শিল্পোৎপাদন খাতকে গুরুত্ব দিয়ে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার থাকবে।

এছাড়া ২০৩১ সালের মধ্যে দেশে হতদারিদ্র্য অবসানের অঙ্গীকার এবং ২০৪১ সাল নাগাদ দারিদ্র্য ৩ শতাংশে নামিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি থাকবে। এ লক্ষ্যে শিক্ষিত, দক্ষ, চৌকস ও দুর্নীতিমুক্ত মানুষদের রাজনীতিতে আগ্রহী করে তোলারও অঙ্গীকার থাকছে আওয়ামী লীগের।

এর আগে ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ‘সমৃদ্ধির অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ’ স্লোগানে নির্বাচনি ইশতেহার ঘোষণা করেছিল আওয়ামী লীগ। তাতে ২০৪১ সালে উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ এবং ২১০০ সালে নিরাপদ ব-দ্বীপ পরিকল্পনার রূপরেখা দেয়া হয়।

২০০৮ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ‘দিন বদলের সনদ’ নিয়ে নির্বাচনি ইশতেহার ঘোষণা করেন শেখ হাসিনা। সেই ইশতেহারের অঙ্গীকারে বলা ছিল- ২০২১ সালের মধ্যেই ডিজিটাল বাংলাদেশ হবে।

ইশতেহারে কৃষি, সেবা ও শিল্পোৎপাদন খাতকে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। এতে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যোগাযোগ খাতে গুরুত্ব দেয়ার কথা রয়েছে।

মূল ফোকাস থাকছে শিল্প খাত তথা উৎপাদন খাতকে প্রসারিত করার অঙ্গীকার। এ লক্ষ্যে ছোট ছোট শিল্প-কলকারখানার সঙ্গে ভারী শিল্পের দিকে লক্ষ্য রেখে একশ’ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলা হচ্ছে।

সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য গণমাধ্যম, বিচার বিভাগ ও নির্বাহী বিভাগ বড় ভূমিকা পালন করে। এই তিনটি মিলিয়ে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা নির্বাচনি ইশতেহারে গুরুত্ব থাকছে। সব ধর্ম-বর্ণের মানুষের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করে দেশ পরিচালনা করার কথাও থাকবে।

ইশতেহার প্রণয়ন কমিটির সদস্য ও আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য লে. কর্নেল (অব.) মুহাম্মদ ফারুক খান জানান, এবারের নির্বাচনি ইশতেহারে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার নিয়ে দেশকে স্বয়ংসম্পূর্ণ করার পরিকল্পনার অংশ হিসেবে কর্মসংস্থান, খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা, শিল্পায়ন, সুশাসনের ওপর জোরালো প্রতিশ্রুতি থাকবে।

ইশতেহার প্রণয়ন কমিটির সদস্য সচিব এবং দলের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ বলেন, ‘স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার চার স্তম্ভ নির্ধারণ করে ইশতেহারে অর্থনীতি, আর্থিক খাত, কৃষি খাত, সুশাসন প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকারসহ বহুমাত্রিক পদক্ষেপ বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি থাকবে। সার্বিকভাবে অর্থনীতির গতিশীলতা রক্ষা ও শৃঙ্খলায় গুরুত্ব থাকবে আমাদের নির্বাচনি ইশতেহারে।’

এ বিভাগের আরো খবর