জিয়া পরিবার দেশের গণতন্ত্র ধ্বংস করার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
মঙ্গলবার ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে পোলিং এজেন্ট প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠানে তিনি এ অভিযোগ করেন ।
ওবায়দুল কাদের বলেন, তারেক রহমান বাংলাদেশে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র করেছে। তার বাবা জিয়াউর রহমানও গণতন্ত্র ধ্বংস করেছে। হত্যা, ষড়যন্ত্রের রাজনীতি যারা চালু করেছে, তারা এ দেশের গণতন্ত্রকে বিকাশে বাধা দেবে, এটাই স্বাভাবিক।
আমরা খুব সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি- মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিশ্ব সংকটের প্রভাব প্রতিক্রিয়া থেকে আমরা বিচ্ছিন্ন নই। আমরা গ্লোবাল পলিটিক্সের বিভিন্ন কারণের অবিচ্ছেদ্য অংশ। গাজায় যে যুদ্ধ চলছে, ইসরায়েলের যে হামলা চলছে, সুদান আবারও বিভক্ত হওয়ার পথে। এই অবস্থায় আমরা সংকটে আছি। দোষটা বড় বড় দেশের, আর শাস্তি পাচ্ছি আমরা।
তিনি বলেন, বাজারে পণ্যের যে ঊর্ধ্বগতি, তা নিয়ে মানুষ দুঃখ-কষ্টে আছে। ক্ষমতাসীন দল হিসেবে আমরা দায় এড়াতে পারি না। পণ্যের দাম অনেক বেড়ে গেছে। জ্বালানির দাম বৃদ্ধি, পরিবহনের অস্বাভাবিক ব্যয় বৃদ্ধি। এসব সংকট আজ আমাদের মোকাবিলা করতে হচ্ছে। এর মধ্যে একটা সাধারণ জাতীয় নির্বাচন করতে হচ্ছে। এটা সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা।
ওবায়দুল কাদের বলেন, কেউ যদি বলে এই সংকটের মুহূর্তে এখন নির্বাচন না করতে তাহলে আমরা বলব, আমাদের সংবিধান আছে। সংবিধান আমাদের নির্বাচন দিয়েই রক্ষা করতে হবে। এটা আমাদের সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা। প্রতিকূল পরিস্থিতিতে আমাদের এই নির্বাচন করতে হচ্ছে।
তিনি বলেন, বিশ্ব সংকটের যে বাস্তবতা, পাশাপাশি আমাদের অপজিশন বিএনপি নির্বাচন শুধু বয়কট করেনি, পণ্ড করতে চায়, বানচাল করতে চায়। মিছিল বিক্ষোভ, সমাবেশ করে নয়; তারা সন্ত্রাস-সহিংসতার মাধ্যমে নির্বাচন বানচাল করতে চায়। তাদের সহিংসতা ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। তারা ৩০০ এর মতো বাসে আগুন দিয়েছে। পুলিশ হত্যা, আনসার সদস্য হত্যা করেছে।
তবে বিএনপি নির্বাচনের বাইরে থাকবে আওয়ামী লীগ কখনোই তা চায়নি বলে মন্তব্য করেন কাদের। তিনি বলেন, বিএনপি এলে নির্বাচন আরও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হতো।নির্বাচন বর্জন নয়, বানচালের চেষ্টা করছে বিএনপি এমন মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘শুধু একটি পক্ষই নির্বাচন বর্জন করেছে। তারা শুধু নির্বাচন বর্জন নয় বিদেশ থেকে রিমোট কন্ট্রোলে দেশের গণতন্ত্র ধ্বংসের চেষ্টা করছে। নির্বাচন বানচাল করতে আগুন দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে মারছে।’
আওয়ামী লীগের দ্বিতীয় শীর্ষ এ নেতা দাবি করেন, বিএনপি তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছে, হত্যা করেছে, এই ব্যবস্থাকে আমরা চাই না। এই ব্যবস্থাকে আমরা বাতিল করিনি। বাতিল করেছে বিচার বিভাগ। তত্ত্বাবধায়ক সরকার এখন মরে গেছে, এটাকে জীবিত করার প্রয়োজন নেই। সারা দুনিয়ার কোনো দেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকার নেই।
পোলিং এজেন্ট প্রশিক্ষণ উপ-কমিটির আহ্বায়ক সাবের হোসেন চৌধুরী প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন।
বিকেল চারটা পর্যন্ত দুই সেশনে প্রশিক্ষণ দেবে আওয়ামী লীগের পোলিং এজেন্ট প্রশিক্ষণ উপ কমিটি। সারা দেশ থেকে দলীয় প্রার্থীর মনোনীত পোলিং এজেন্টদের আজকে প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। প্রতিটি নৌকার আসন থেকেই পাঁচজন পোলিং এজেন্ট প্রশিক্ষণের জন্য চাওয়া হয়েছিল