বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

খুলনার ৩ আসনে নৌকার ‘পাল্লা ভারী’, কেন্দ্রে ভোটার নেয়াই চ্যালেঞ্জ

  •    
  • ২৬ ডিসেম্বর, ২০২৩ ০৯:৩১

খুলনা-১, খুলনা-২ ও খুলনা-৩ আসনে এখনো অনেকটা আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থীর বিজয় নিশ্চিত। তাই ভোটের হার বাড়ানোটা চ্যালেঞ্জ। আর খুলনা-৪, খুলনা-৫ ও খুলনা-৬ আসনে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতার কারণে ভোটের হার অনেকটা বেড়ে যাবে।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে খুলনার ছয়টি আসনে লডছেন ৩৬ জন প্রার্থী। এর মধ্যে তিনটিতে আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর বিপক্ষে লড়বেন শক্তিশালী স্বতন্ত্র প্রার্থী। বাকি তিন আসনে আওয়ামী লীগের কোনো শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকা সেখানে ভোটের হাড্ডাহাড্ডি লড়ায়ের কোনো আভাসও নেই। এ পরিস্থিতিতে ওই তিন আসনে ভোটের হার বাড়ানো এখন মূল চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে ক্ষমতাসীন দলের জন্য।

স্থানীয় ভোটার ও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, খুলনা-১, খুলনা-২ ও খুলনা-৩ আসনে এখনো অনেকটা আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থীর বিজয় নিশ্চিত। তাই ভোটের হার বাড়ানোটা চ্যালেঞ্জ। আর খুলনা-৪, খুলনা-৫ ও খুলনা-৬ আসনে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতার কারণে ভোটের হার অনেকটা বেড়ে যাবে।

খুলনা-১ আসনে প্রার্থী রয়েছেন চারজন। এদের মধ্যে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ননী গোপাল মণ্ডল ও আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী ঈগল প্রতীকের প্রশান্ত কুমার রায়কে মাঠে প্রচারণায় নামতে দেখা গেছে। তবে জাতীয় পার্টির লাঙ্গলের প্রার্থী কাজী হাসানুর রশিদ ও তৃণমূল বিএনপির সোনালী আঁশের প্রার্থী চন্দ্র প্রামানিক এখনো মাঠে নামেননি।

এই আসনের ননী গোপাল মন্ডল সাবেক সংসদ সদস্য। এলাকায় তার তুমুল আধিপাত্য রয়েছে। অন্যদিকে প্রশান্ত কুমার সাবেক সচিব। হঠাৎ করেই রাজনীতিতে আগমন। একাধিক ভোটারের সাথে কথা বলে জানা গেছে, তারা ইতোমধ্যেই ধরে নিয়েছেন ননী গোপালের বিজয় নিশ্চিত। তাই ভোটের প্রতি আগ্রহ কম দেখাচ্ছেন ভোটাররা।

ননী গোপাল মন্ডল বলেন, মাঠের পরিস্থিতি বিবেচনায় আমি এগিয়ে আছি। আশা করছি নির্বাচনে নৌকাই জিতবে। ভোটাররা যাতে স্বতস্ফুর্তভাবে কেন্দ্র গিয়ে ভোট দেয়, আমি সে জন্য মাঠে ছুটে বেড়াচ্ছি।

প্রশান্ত কুমার রায় বলেন, আমি নির্বাচিত হলে, সচিবালয়, মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করে নানা ধরনের উন্নয়ন করতে পারব। এই বিবেচনায় আমাকে ভোটাররা ভোট দেবেন।খুলনা-২ আসন থেকে লড়ছেন লড়ছেন ৬ জন প্রার্থী। ইতোমধ্যে মাঠে নেমে ব্যাপক প্রচারণা শুরু করেছেন আওয়ামী লীগের নৌকার প্রার্থী সেখ সালাহউদ্দিন। সেখানে ঈগল প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন সেখ সালাহউদ্দিনের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা মো. সাঈদুর রহমান। তিনি মাঠে নামেননি। তার মত অন্যান্য দলের প্রার্থীরাও মাঠে নামেননি। এই আসনেও আওয়ামী লীগের বিজয় অনেকটা নিশ্চিত।

এই আসনটি খুলনা সিটি কর্পোরেশনের অন্তর্গত। একাধিক এলাকা পরিদর্শন করে কোথাও নৌকা ছাড়া অন্য কারো পোস্টার চোখে পড়েনি। ভোটেরদের সাথে আলোচনা করে জানা গেছে, তারা নিশ্চিত রয়েছেন, সেখ সালাহউদ্দিন পুনরায় নির্বাচিত হবেন।

সেখ সালাহউদ্দিন বলেন, এই অঞ্চলের যত উন্নয়ন হয়েছে, তা আওয়ামী লীগের হাত ধরেই হয়েছে। এই বিবেচনায় সবাই ভোট কেন্দ্রে যাবেন। নৌকায় ভোট দেবেন।খুলনা-৩ আসনে লড়ছেন চারজন প্রার্থী। এদের মধ্যে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী এস এম কামাল হোসেন ছাড়া কেউই প্রচারণায় মাঠে নামেননি।

ওই আসনের জাতীয় পার্টির লাঙ্গলের মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন, জাকের পার্টির গোলাপ ফুলের এসএম সাব্বির হোসেন ও ঈগল প্রতীক প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী ফাতেমা জামান রাজনীতিতে তেমন পরিচিত ব্যক্তি নন। ফলে সেখানে আওয়ামী লীগের বিজয় অনেকটা নিশ্চিত রয়েছে।

আসনটির ভোটাদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাওয়ার পর থেকে এস এম কামাল হোসেন মাঠে নেমে পড়েছেন। বিজয় নিশ্চিত জেনেও, তার মাঠে এত পরিশ্রমের মূলে রয়েছে, কেন্দ্রে ভোটার টানা।

এস এম কামাল হোসেন বলেন, ভোটাররা নিজেরাই ভোট কেন্দ্রে আসবেন, যাকে খুশি ভোট দেবেন। কোনো প্রকার সহিংসতা এখানে হবে না। আমি মানুষের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছি। আশা করি সবাই ভোট কেন্দ্রে যাবেন। ভোট দেবেন।

খুলনা-৪ আসনে লড়ছেন ১১ জন প্রার্থী। তবে মূল লড়াই হবে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আব্দুস সালাম মুর্শেদী ও আওয়ামী লীগের সতন্ত্র প্রার্থী মোত্তজা রশিদী দারা মধ্যে।

খুলনার-৫ আসনে এখনো বৈধ প্রার্থী রয়েছেন চারজন। আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের নারায়ন চন্দ্র চন্দ এলাকায় ব্যাপক প্রচারণা চালাচ্ছেন। আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী শেখ আকরাম হোসেনের প্রার্থিতা উচ্চ আদালত বহাল রাখায়, সেখানের রাজনৈতিক পরিস্থিতি পরিবর্তন হয়ে গেছে। এই দুই প্রার্থীর মধ্যেও তীব্র লড়াই হবে।

খুলনা-৬ আসনে ৭ প্রার্থীর মধ্যে মাঠে আছেন শুধু আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মো. রশীদুজ্জামান ও একই দলের স্বতন্ত্র প্রার্থী ঈগল প্রতীকের জি এম মাহবুবুল আলম। তারা দুইজনেই মাঠে ব্যাপক প্রচারণা চালাচ্ছেন।

খুলনা-৪, খুলনা-৫ ও খুলনা-৬ আসনের ভোটারদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, আওয়ামী লীগের দুপক্ষ সমান প্রভাবশালী হওয়া সেখানের ভোটের মাঠ সরগরম হয়ে উঠেছে। যার ফলে এই আসনগুলোতে ভোটের হার বাড়বে।

এ বিভাগের আরো খবর