বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ঢামেকে রোগীকে জিম্মি করে টাকা দাবির অভিযোগ

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ২৫ ডিসেম্বর, ২০২৩ ২২:২১

ভুক্তভোগী আরিফুলের অভিযোগ, ‘রোগী নিয়ে জরুরি বিভাগ থেকে বের হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ওই দুই ট্রলিম্যান আমার কাছে মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করেন। তারা বলেন- টাকা না দিলে তোকে পুলিশে দেব। তুই রোগী কোথাও নিয়ে যেতে পারবি না। বেশি বাড়াবাড়ি করলে পঞ্চাশ হাজার টাকার কমে ছাড়ব না।’

ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে রোগীকে জিম্মি করে মোটা অঙ্কের টাকা দাবির অভিযোগ উঠেছে দুই ট্রলিম্যানের বিরূদ্ধে।

সোমবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে রোগীকে ঢামেকে নিয়ে আসা লেগুনার চালক আরিফুল ইসলাম রাব্বি নিউজবাংলাকে জানান, মিরপুরের বেড়িবাঁধ-সংলগ্ন কলাপট্টি এলাকায় তার লেগুনার সঙ্গে ধাক্কা লেগে এতে ৭০ বছর বয়সী এক আহত হন। স্থানীয় পুলিশ গাড়িটি আটক করে রেখে তাকে দিয়েই আহতকে হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন। ঢামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসলে দুই ট্রলি ম্যান প্রথমে আহতেকে তাদের ট্রলিতে তোলেন। এরপর টিকিট কিনে জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তার মাথায় আঘাতের কারণে সিটি স্ক্যান করার পরামর্শ দেন। এ ছাড়া বৃদ্ধের ডান হাত ও দাঁত ভেঙে গেছে বলে জানান তিনি।

আরিফুল বলেন, ‘আমার কাছে পরীক্ষা করার মতো টাকা নাই- বিষয়টি ডাক্তারের কাছে জানিয়ে অনুরোধ করায় তিনি পরীক্ষা ফ্রি করে দেন। পরে রিপোর্ট দেখে ডাক্তার ব্যবস্থাপত্র লিখে দিয়ে রোগীকে মিরপুর ডেন্টাল হাসপাতালে রেফার করেন।

‘এরপর রোগী নিয়ে জরুরি বিভাগ থেকে বের হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ওই দুই ট্রলিম্যান আমার কাছে মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করেন। তারা বলেন- টাকা না দিলে তোকে পুলিশে দেব। তুই রোগী কোথাও নিয়ে যেতে পারবি না। বেশি বাড়াবাড়ি করলে পঞ্চাশ হাজার টাকার কমে ছাড়ব না।’

এদিকে এ নিয়ে হৈচৈ ও লেগুনাচালকের কান্নাকাটি দেখে লোকজন এগিয়ে এলে ট্রলি রেখে আলমগীর নামে ট্রলিম্যানদের একজন সটকে পড়েন। জাকির নামের অপরজনকে আটক করে উপস্থিতরা ঢামেক পুলিশ ফাঁড়িতে সোর্পদ করেন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ওই দুই অভিযুক্তের মধ্যে আলমগীর ঢামেকের দৈনিক মজুরিভিত্তিক কর্মচারী এবং আটক জাকির বহিরাগত। জরুরি বিভাগের ওয়ার্ড মাস্টার রিয়াজকে ম্যানেজ করে জাকির দীর্ঘদিন ধরে ঢামেকে কাজ করছেন। অন্যদিকে, আলমগীরের ডিউটি মূলত কেবিন ব্লকে হলেও অতিরিক্ত টাকা উপার্জনের জন্য বিকেলে জরুরি বিভাগে ডিউটি করে থাকেন তিনি।

ঢামেক পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোহাম্মদ বাচ্চু মিয়া বলেন, ‘রোগীকে জিম্মি করে মোটা অঙ্কের দাবিকারী ট্রলিম‍্যান জাকির ওয়ার্ড মাস্টার রিয়াজের অধীনে কাজ করেন। আমরা তাকে আটক করে শাহবাগ থানায় সোপর্দ করেছি।’

এ বিভাগের আরো খবর