বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

কালিকিনিতে এসকান্দার হত্যা ব্যক্তিগত বিরোধে: পুলিশ

  • প্রতিনিধি, মাদারীপুর   
  • ২৫ ডিসেম্বর, ২০২৩ ২২:১১

পুলিশ সুপার মাসুদ আলম বলেন, ‘কালকিনির লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের ভাটাবালী গ্রামে এসকান্দার খানকে হত্যার ঘটনা ঘটেছে আধিপত্য বিস্তার ও জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে। গ্রেপ্তার প্রধান আসামি হত্যার দায় স্বীকার করেছেন।’

মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্র্রার্থীর সমর্থক এসকান্দার হত্যার কারণ নির্বাচনি বিরোধ নয় বলে দাবি করেছেন পুলিশ সুপার। তার বক্তব্য, গ্রামে আধিপত্য বিস্তার ও জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে।

এসকান্দার হত্যা মামলার প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তারের পর সোমবার সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।

গাজীপুরে গ্রেপ্তার হওয়া আসামি বিল্লাল হোসেন মাদারীপুর-৩ আসনে নৌকার প্রার্থী আবদুস সোবহান মিয়া গোলাপের সমর্থক। আর নিহত এসকান্দার ছিলেন এই আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী মোসা. তাহমিনা বেগমের সমর্থক।

নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, নির্বাচন সামনে রেখে নৌকার প্রার্থীর সমর্থকরা এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে।

হত্যার ঘটনায় সোমবার সকালে কালকিনি থানায় ৩১ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ১৫ থেকে ২০ জনকে আসামি করে মামলা করেন নিহতের ছেলে হিরন খান। মামলার প্রধান আসামি বিল্লাল খান ভাটাবালী গ্রামের মোকলেস খানের ছেলে।

মাদারীপুরের পুলিশ সুপার মো. মাসুদ আলম সোমবার সন্ধ্যায় নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের ভাটাবালী গ্রামে আধিপত্য বিস্তার ও জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে এসকান্দার খানকে হত্যার ঘটনা ঘটে। শুরু থেকেই জেলা পুলিশের একাধিক টিম আসামিদের গ্রেপ্তারে জোর চেষ্টা চালায়।

‘জেলা পুলিশের তৎপরতায় গাজীপুর থেকে মামলার প্রধান আসামি বিল্লালকে গ্রেপ্তার করা হয়। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে আমাদের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

‘গ্রেফতার হওয়া বিল্লাল হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে। এলাকার আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় বিভিন্ন স্থানে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।’

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. কামরুল হাসান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মনিরুজ্জামান ফকিরসহ জেলা পুলিশের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গত, শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) ভোরে বাড়ির সামনের রাস্তায় হাঁটতে বের হন এসকান্দার খান। এ সময় নৌকার প্রার্থী গোলাপের সমর্থক ও লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ফজলুল হক বেপারীর লোকজন তার ওপর হামলা চালায়। তারা এসকান্দার খানকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে আহত করে। তার পায়ের রগও কেটে ফেলা হয়। বাধা দিতে এলে আরেকজনকে কুপিয়ে আহত করে হামলাকারীরা। স্থানীয়রা দু’জনকে উদ্ধার করে প্রথমে কালকিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাদেরকে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এসকান্দার খান মারা যান।

এ বিভাগের আরো খবর