কুমিল্লা-৭ (চান্দিনা) আসনে চান্দিনা উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক জহিরুল ইসলাম মুন্সীসহ চারজনকে কুপিয়ে মারাত্মক আহত করেছে দুর্বৃত্তরা। স্বতন্ত্র প্রার্থীকে নির্বাচনি প্রচারে সহযোগিতা করায় নৌকার প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকরা তাদের ওপর হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ ঈগল প্রতীকের প্রার্থী মুনতাকিম আশরাফ টিটুর।
সোমবার বিকেলে উপজেলার গজারিয়া নামক স্থানে এ হামলার ঘটনা ঘটে। আহতদেরও অভিযোগ, নৌকার সমর্থকরা তাদের ওপর এ হামলা করেছে।
আহত জহির মুন্সী ওই আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুনতাকিম আশরাফ টিটুর অনুসারী। আহত অপর তিনজন হচ্ছেন- উপজেলা উপজেলা যুবলীগের প্রচার সম্পাদক আবুল খায়ের ও বড়করই ইউনিয়ন যুবলীগের সহ-সভাপতি মহিউদ্দিন এবং গাড়ি চালক ইউসুফ।
স্বতন্ত্র প্রার্থী টিটুর অভিযোগ, তার কর্মী-সমর্থকদের ওপর দফায় দফায় হামলার ঘটনা ঘটলেও পুলিশ এখন পর্যন্ত কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। তাই ওই আসনটিতে সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত করা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। স্থানীয় থানার ওসির বিরুদ্ধেও অসহযোগিতার অভিযোগ তুলেছেন তিনি।
এ ঘটনার পর ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মুনতাকিম আশরাফ টিটু বলেন, ‘সোমবার বিকেলে জহির মুন্সী তার কয়েকজন সহযোগী নিয়ে নবাবপুর ইউনিয়নে পোস্টার বিতরণ শেষে ফেরার পথে ১৫-২০টি মোটরসাইকেল ও একটি মাইক্রেবাসে আসা নৌকার লোকজন তাদের প্রাইভেটকারটি ধাওয়া করে। গাড়িটি গজারিয়ায় পৌঁছালে প্রথমে গাড়িটি থামিয়ে ভাঙচুর করা হয়। পরে তাদের গাড়ি থেকে নামিয়ে কুপিয়ে ও পিটিয়ে মারাত্মকভাবে আহত করা হ।
হামলার পর আহতদের প্রথমে চান্দিনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং পরে জেলা শহরের একটি বেসরকারি হাসাপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে নৌকার প্রার্থী ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।
সন্ধ্যায় চান্দিনা থানার ওসি আহম্মদ সনজুর মোরশেদ বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
গত কয়েকদিনে এই আসনে আরও অন্তত ৩টি হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ নিয়ে সাধারণ ভোটারদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে।