বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ঈগলের দিলীপের মাথায় অস্ত্র ঠেকানো হয়নি, দাবি নৌকার সোলায়মানের

  • প্রতিনিধি, চুয়াডাঙ্গা   
  • ২৫ ডিসেম্বর, ২০২৩ ১৬:০৯

নৌকার প্রার্থী বলেন, এসআই হারুন-অর-রশিদকে অবিলম্বে প্রত্যাহার এবং বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির মূল হোতা আবু তাহের বিশ্বাসকে অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

চুয়াডাঙ্গা-১ আসনে ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী দিলীপ কুমার আগারওয়ালার মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে অপরহণ চেষ্টা, মারধর ও প্রচারণায় বাধার অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন।

সোমবার দুপুর ১২টার দিকে জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি করেন।

লিখিত বক্তব্যে নৌকার প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন বলেন, গত ২৩ ডিসেম্বরের সন্ধ্যায় স্থানীয় যুবলীগের একটি মিছিলে হামলা চালানো হয় এবং নৌকার প্রার্থীকে অকথ্য ভাষায় গালি ও উত্তেজনা ছড়ানো হয়। রাত ৮টার দিকে ভান্ডারদহ গ্রামে নৌকার পক্ষে একটি মিছিল বের হয় এবং মিছিলের পেছনে ঈগল মার্কা স্বতন্ত্র প্রার্থী তার ব্যক্তিগত বডিগার্ড ও কয়েকজন কর্মী সমর্থকসহ গাড়ি নিয়ে উপস্থিত হন।

তিনি বলেন, প্রার্থীর উপস্থিতিতে তার সমর্থক আবু তাহের বিশ্বাস একটি হ্যান্ড মাইক দিয়ে মিছিলের পেছন থেকে গাোগালি করতে থাকেন এবং তাদের জন্য রাস্তা ছেড়ে দিতে বলেন। রাস্তা ফাঁকা হলে গাড়ি বহরটি কিছুদূর গিয়ে ভান্ডারদহ ত্রি-মোহনী মোড়ে পৌঁছে রাস্তার ওপরেই মাইকে বক্তিৃতা দিতে শুরু করেন প্রার্থী। এতে রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়। ওই স্থান ত্যাগ করতে গেলে ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থীর বডিগার্ড তাদের হাতে থাকা বিশেষ লাঠি দ্বারা এবং তাদের কর্মীরা অতর্কিত হামলা করেন। ঈগল প্রতীকের প্রার্থী অস্ত্র ঠেকিয়ে হুমকির যে অভিযোগ দিয়েছেন তা ভিত্তিহীন।

স্থানীয় প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে নৌকার প্রার্থী বলেন, ঘটনার সময় সেখানে সরোজগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ি থেকে এসআই হারুন-অর-রশিদের নেতৃত্বে একদল পুলিশ সদস্য উপস্থিত হন। পুলিশ বিনা বিবেচনায় ওই প্রার্থীর নির্দেশ মেনে আমাদের মিছিলে হামলা চালায়। সেখানে পৌঁছালে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও কুতুবপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলী আহম্মেদ হাসানুজ্জামান মানিকসহ পাঁচজনকে আটক করা হয়। পরে স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে একজনকে বাদী সাজিয়ে মামলা করা হয়।

তিনি বলেন, সরোজগঞ্জ পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ হারুন-অর-রশিদ দিলীপের সঙ্গে যোগ দিয়ে এবং স্থানীয় জামাত-বিএনপির কিছু লোকজনকে নিয়ে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার একটি গোপন নকশা নিয়ে কাজ করছেন।

তিনি আরও বলেন, এসআই হারুন-অর-রশিদকে অবিলম্বে প্রত্যাহার এবং বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির মূল হোতা আবু তাহের বিশ্বাসকে অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও প্রধান নির্বাচনি এজেন্ট রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটন, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মুন্সি আলমগীর হান্নান, মুহা. শামসুজ্জোহা, সাবেক দপ্তর সম্পাদক আবু তালেব বিশ্বাস, জেলা কৃষকলীগের সাব্কে সভাপতি আজিজুল হক ও চুয়াডাঙ্গা রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক সহিদুল ইসলাম শাহান প্রমুখ।

এ বিভাগের আরো খবর