যারা ভোট ঠেকাতে আসে তাদের ‘অপতৎপরতা’ প্রতিহত করা সাংবিধানিক দায়িত্ব বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান।
কাউন্সিলরদের সঙ্গে সোমবার দুপুরে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত মতবিনিময় সভা শেষে এক প্রশ্নের জবাবে সাংবাদিকদের কাছে এ মন্তব্য করেন তিনি।
হাবিবুর বলেন, ‘ভোট দেয়া যেমন গণতান্ত্রিক অধিকার, ভোট না দেয়াও গণতান্ত্রিক অধিকার, কিন্তু ভোট ঠেকানো গণতান্ত্রিক অধিকার নয়। যারা ভোট ঠেকাতে আসে তাদের অপতৎপরতা প্রতিহত করাও সাংবিধানিক দায়িত্ব প্রতিটি নাগরিক ও জনপ্রতিনিধির।’
কাউন্সিলরদের কাছ থেকে কোনো ঝুঁকি কিংবা নাশকতার তথ্য পেয়েছেন কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘নির্বাচন উপলক্ষে কোনো সুনির্দিষ্ট ঝুঁকি নেই, নাশকতা নেই। কাউন্সিলররা জানিয়েছেন, তাদের এলাকার লোকজন ভোট দেয়ার জন্য উন্মুখ হয়ে আছেন; সবাই স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দেবেন।’
তিনি বলেন, ‘ঢাকা মহানগর এলাকায় দুটি সিটি করপোরেশনের ১২৯টি ওয়ার্ড রয়েছে। সেখানে ১৭২ জন কাউন্সিলর রয়েছে। আজকে কাউন্সিলরদের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলাম।
‘আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত কার কোন এলাকায় সমস্যা আছে, সেটি আমাদের অবহিত করেছেন তারা। সম্প্রতি কিছু রাজনৈতিক দলের নাশকতা সংক্রান্ত কিছু কার্যক্রম, অগ্নিসংযোগ, সন্ত্রাসী কার্যক্রম যেগুলো হচ্ছে সেগুলো প্রতিরোধে পুলিশের সঙ্গে কাউন্সিলররা একসঙ্গে কাজ করবে।’
নির্বাচনে কাউন্সিলরদের ভূমিকা নিয়ে ডিএমপির প্রধান বলেন, ‘নির্বাচনে ভোটদানে নিরুৎসাহিত ও ভোটদানে বাধা প্রদান কার্যক্রম যাতে কেউ না করতে পারে, সে জন্য কাউন্সিলরদের সঙ্গে মতবিনিময় হয়েছে। তারাও ঐক্যবদ্ধভাবে সন্ত্রাসীদের প্রতিরোধ করতে চেয়েছে এবং আগামী দিনে সবাই যাতে ভোটকেন্দ্রে আসতে পারে, সে জন্য আমরা বদ্ধপরিকর।’
তিনি বলেন, ঢাকা মহানগরীতে যেসব ফুটপাত ও রাস্তা দখল রয়েছে, সেগুলো উদ্ধারে পুলিশ ও কাউন্সিলররা একত্রে কাজ করবে। পুলিশ তাদের তুলে দিতে পারে, কিন্তু পুনর্বাসনের বিষয়টিও এর সঙ্গে জড়িত। সুতরাং বিকল্প কোনো ভেন্যুতে দেখেশুনে পুনর্বাসনের লক্ষ্যে আলাপ-আলোচনা হয়েছে।