সম্প্রতি দেশব্যাপী রেললাইন ও ট্রেনে নাশকতার ঘটনা বেড়ে যাওয়ায় দিনাজপুর জেলার চারটি রুটে আনসার সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে।
জেলার ৫৭টি পয়েন্টে সম্প্রতি ৪৮৪ জন আনসার সদস্যের পাহাড়ায় চলাচল করছে ৬৪টি ট্রেন। রেললাইনের ওপর নাশকতা প্রতিরোধের পাশাপাশি বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করছেন এ বাহিনীর সদস্যরা।
বিরল উপজেলার কাঞ্চন রেলওয়ে জংশনের পাশে পাহারা দেয়ার সময় রোববার সন্ধ্যায় আনসার সদস্যরা রেললাইনে ফাটল দেখতে পান। পরে কর্তব্যরতদের জানালে তারা ঢাকা থেকে পঞ্চগড়গামী আন্তনগর একতা এক্সপ্রেস ট্রেনটিকে কাঞ্চন জংশনে আটকে দেয়, ফলে বড় ধরনের দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পায় ট্রেনের হাজারো যাত্রী।
রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ জানায়, রোববার রেললাইনের নিরাপত্তার জন্য কাঞ্চন জংশন এলাকায় নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন আনসার ও ভিডিপির ইউনিয়ন দলনেতা আমিনুল ইসলাম, আনসার কমান্ডার আইয়ুব আলী, সদস্য আরিফ রহমান, কান্ত সাহা ও মোস্তফা কামাল। রাত পৌনে ৯টার দিকে টহল দেয়ার সময় রেললাইনের একটি জায়গায় ফাটল দেখতে পান তারা। আনসার সদস্যরা তাৎক্ষণিক বিষয়টি রেলওয়ে কর্তৃপক্ষকে অবহিত করলে তারা ব্যবস্থা নেয়।
দলনেতা আমিনুল ইসলাম জানান, রাতে রেললাইনে ফাটল দেখে কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়। তারা কাঞ্চন জংশনে লাল সিগন্যাল দেখায়, ফলে ট্রেনটি জংশনে আটকে যায়। পরে রেলওয়ে কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে ধীরগতিতে ফাটল জায়গাটির ওপর দিয়ে ট্রেনটি পঞ্চগড়ের উদ্দেশে চলে যায়।
এদিকে দিনাজপুর-পার্বতীপুর রেলওয়ে রুটে সদর উপজেলার শেখপুরায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, রেললাইন নাশকতা এড়াতে পাহাড়ায় রয়েছে পাঁচজন আনসার সদস্য। আনসার সদস্যরা জানান, তারা রাত ৮টা থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করবেন।
দিনাজপুর জেলার আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর কমান্ড্যান্ট হাছান আলী বলেন, ‘দিনাজপুরের রেলপথের ৫৭টি পয়েন্টে ৪৮৪ জন আনসার সদস্য রেলওয়ের নিরাপত্তার কাজে নিয়োজিত রয়েছে। নিয়োজিতরা আটজনে বিভক্ত হয়ে দুই শিফটে দায়িত্ব পালন করছেন।’
দিনাজপুর রেলওয়ে সুপার জিয়াউর রহমান জানান, দিনাজপুরের পার্বতীপুর রেলওয়ে জংশনের ওপর দিয়ে প্রতিদিন ৬৪টি আন্তনগর ও মেইল ট্রেন চলাচল করে। বর্তমানে রেলপথ পর্যবেক্ষণে দায়িত্বে রয়েছে আনসার সদস্যসহ রেলওয়ের কি-ম্যান এবং ওয়েম্যানরা।