দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণের আগে-পরে মিলিয়ে তিনদিন যানবাহন চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। রোববার ইসির উপ-সচিব আতিয়ার রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ৬ জানুয়ারি রাত ১২টা থেকে ৭ জানুয়ারি দিবাগত রাত ১২টা পর্যন্ত ট্যাক্সি-ক্যাব, পিকআপ ও মাইক্রোবাস চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। এছাড়া ৫ জানুয়ারি দিবাগত রাত ১২টা থেকে ৮ জানুয়ারি মধ্যরাত পর্যন্ত মোটরসাইকেল চলাচলও বন্ধ থাকবে।
তবে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, সশস্ত্র বাহিনী, প্রশাসন ও অনুমতিপ্রাপ্ত পর্যবেক্ষক, জরুরি সেবা কাজে নিয়োজিত যানবাহন এবং ওষুধ, স্বাস্থ্য-চিকিৎসা ও অনুরূপ কাজে ব্যবহৃত দ্রব্যাদি ও সংবাদপত্র বহনকারী যানবাহনের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা শিথিল থাকবে।
এছাড়া অনুমতি নিয়ে বিমানবন্দরে যাওয়া, বিমানবন্দর থেকে বাড়ি ফেরার জন্য ব্যবহৃত যানবাহন, সাংবাদিক ও ভোটের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের মোটরসাইকেল চলাচল করতে পারবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
যেসব ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা শিথিল থাকবে-
১.আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, সশস্ত্র বাহিনী, প্রশাসন ও অনুমতিপ্রাপ্ত পর্যবেক্ষক।
২. জরুরি সেবা কাজে নিয়োজিত যানবাহন এবং ওষুধ, স্বাস্থ্য-চিকিৎসা ও অনুরূপ কাজে ব্যবহৃত দ্রব্যাদি ও সংবাদপত্র বহনকারী সব ধরনের যানবাহন।
৩. আত্মীয়-স্বজনের জন্য বিমানবন্দরে যাওয়া, বিমানবন্দর থেকে যাত্রী বা আত্মীয়-স্বজনসহ নিজ বাসস্থানে অথবা আত্মীয়-স্বজনের বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য ব্যবহৃত যানবাহন (টিকিট বা অনুরূপ প্রমাণ প্রদর্শন সাপেক্ষে) এবং দূরপাল্লার যাত্রী বহনকারী অথবা দূরপাল্লার যাত্রী হিসেবে স্থানীয় পর্যায়ে যাতায়াতের জন্য যে কোনো যানবাহন।
৪. প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর জন্য একটি, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর নির্বাচনী এজেন্টের (যথাযথ নিয়োগপত্র/পরিচয়পত্র থাকা সাপেক্ষে) জন্য একটি গাড়ি (জিপ, কার, মাইক্রোবাস ইত্যাদি ছোট আকারের যানবাহন) রিটার্নিং অফিসারের অনুমোদন ও গাড়িতে স্টিকার প্রদর্শন সাপেক্ষে চলাচলের অনুমতি থাকবে।
৫. সাংবাদিক, পর্যবেক্ষক অথবা জরুরি কোনো কাজে ব্যবহৃত মোটরসাইকেল রিটার্নিং অফিসারের অনুমোদন সাপেক্ষে চলাচলের অনুমতি প্রদান।
৬. নির্বাচন কমিশনের অনুমোদন সাপেক্ষে নির্বাচনী কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তা/কর্মচারী অথবা অন্য কোনো ব্যক্তির জন্য মোটরসাইকেল চলাচলের অনুমতি প্রদান।
৭. জাতীয় মহাসড়ক, বন্দর ছাড়াও আন্তঃজেলা বা মহনগর থেকে বাইরে বা প্রবেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সড়ক-মহাসড়ক ও প্রধান প্রধান রাস্তার সংযোগ সড়ক বা ওইরূপ সব রাস্তায় নিষেধাজ্ঞা শিথিলের বিষয়ে প্রয়োজনীয় কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবেন।
নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে প্রয়োজনীয়তা ও বাস্তবতার নিরিখে সিদ্ধান্ত নিতে ম্যাজিস্ট্রেট বা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার/অন্যান্য কর্তৃপক্ষকে ক্ষমতা প্রদানের বিষয়ে বিজ্ঞপ্তিতে অনুরোধ জানানো হয়।