গাজীপুরের কালিয়াকৈরে এক নবজাতককে পাঁচ হাজার টাকায় বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে শিশুটির মা ও নানির বিরুদ্ধে।
উপজেলার রাখালিয়াচালা এলাকায় শনিবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।
শিশুটির পরিবারের দাবি, অভাবের কারণে লালনপালনে সমস্যা থাকায় শিশুকে দত্তক দেয়া হয়েছে। যিনি দত্তক নেন তিনি খুশি হয়ে পাঁচ হাজার টাকা দিয়েছেন।
শিশুটির মা তুহিন আক্তার ও নানি খাদিজা আক্তার শিশুটিকে বিক্রি করেছেন বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় একজন বলেন, ‘দত্তক দেয়ার কথা বলে নিজের বাচ্চাকে পাঁচ হাজার টাকায় বিক্রি করেছে মা আর নানি। বিষয়টা কেউ ভালো চোখে দেখছে না।’
তুহিন আক্তারের মা খাদিজা আক্তার জানান, তার মেয়ের বিয়ে হয় দিনাজপুরের বিরল উপজেলার জাসরাল এলাকার সেলিম মিয়ার সঙ্গে। গত তিন মাস আগে তুহিনের স্বামী আরেক নারীকে বিয়ে করে চলে যান। ওই সময় তুহিন গর্ভবর্তী ছিল। বৃহস্পতিবার রাতে ছেলের সন্তানের জন্ম দেন তুহিন। অভাবের কারণে শিশুটি লালনপালন করতে না পারায় দত্তক দেয়ার সিদ্ধান্ত নেন তুহিন আক্তার ও তার মা খাদিজা। পরে শনিবার দুপুরে রাখালিয়াচালা এলাকার এক প্রবাসীর স্ত্রী ওই শিশুকে দত্তক নেন।
তিনি জানান, ওই সময় খুশি হয়ে তুহিন আক্তারকে নগদ পাঁচ হাজার টাকা দেন দত্তক নেয়া ওই নারী। পরে স্থানীয় কয়েকজনের উপস্থিতিতে একটি সাদা নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে তুহিনের স্বাক্ষর রাখেন তিনি।
তুহিন আক্তারের মা খাদিজা বলেন, ‘তুহিনের আগেও তিন সন্তান রয়েছে। আমার মেয়েকে গর্ভবর্তী অবস্থায় রেখে আরেক নারীকে বিয়ে করে পালিয় যায় তার স্বামী। তিন সন্তানকেই লালনপালন করতে হিমশিম খাইতেছে। তাই জন্ম নেয়া শিশুপুত্রকে দত্তক দেয়া হয়েছে।’
মৌচাক ইউপি সদস্য ফখরুল ইসলাম মজুমদার বলেন, ‘এ রকম ঘটনা এখন পর্যন্ত জানি না। তবে এখনি খোঁজখবর নিয়ে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করব।’