ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল থেকে এক ভুয়া নারী চিকিৎসককে আটক করা হয়েছে। নীলক্ষেত থেকে কেনা অ্যাপ্রোন পরে আর পরিচয়পত্র গলায় ঝুলিয়ে ঘুরছিলেন তিনি।
শনিবার রাতে হাসপাতালের নতুন ভবনের (আইসিইউ) সামনে ঘোরাফেরা করার সময় তাকে আটক করেন হাসপাতালের আনসার সদস্যরা। তাকে শাহবাগ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
আটক ২৫ বছর বয়সী মুনিয়া আক্তার রোজার বাড়ি চাঁদপুর সদরে। পুরান ঢাকার নাজিমুদ্দিন রোডে মাক্কুশা মাজার সংলগ্ন এলাকায় থাকেন তিনি।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে ঘোরাফেরা করার সময় আনসার সদস্য এপিসি জামানের নজরে আসেন ওই নারী। এরপর থেকে ফলো করতে করতে রাত সাড়ে ৯টার দিকে তাকে আটক করে পুরাতন ভবনের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মুনিয়া প্রথমে নিজেকে গাইনি চিকিৎসক দাবি করেন। তিনি ২০২০ সালে সূত্রাপুরের ন্যাশনাল হাসপাতাল থেকে এমবিবিএস পাস করেন বলে জানান। মুনিয়া বলেন, দুই মাস আগে ঢাকা মেডিক্যালে গাইনি ওয়ার্ডে যোগ দেন তিনি। তবে রাত ১২টার দিকে প্রশাসনের চাপে পড়ে সত্য প্রকাশ করেন। তিনি ঢাকা মেডিক্যাল থেকে বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে রোগী ভাগিয়ে নিয়ে যেতেন।
আনসার সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদে মুনিয়া বলেন, ভয়ে প্রথমে বলেছিলাম আমি ঢাকা মেডিক্যালের গাইনি বিভাগের চিকিৎসক। কিন্তু আমার ভুল আমি বুঝতে পেরেছি। সত্যিকার অর্থে আমি কোনো চিকিৎসক না। আমি নীলক্ষেত থেকে ৫৫০ টাকা দিয়ে অ্যাপ্রোন এবং ২০০ টাকা দিয়ে আইডি কার্ড তৈরি করে ব্যবহার করেছি। আইডি কার্ডে পরিচালকের জাল সই দিয়েছি। আর মিটফোর্ড এলাকা থেকে স্টেথোস্কোপ কিনেছি।
তিনি বলেন, আমি ঢাকা মেডিক্যাল থেকে বেসরকারি হাসপাতালে রোগী ভাগিয়ে নিয়ে যেতাম। এ ছাড়া অ্যাপ্রোন পরে ডাক্তারদের অগোচরে রুমে ঢুকে তাদের মোবাইল ও অন্যান্য সামগ্রী হাতিয়ে নিতাম।
হাসপাতালের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আনসার সদস্য পিসি উজ্জ্বল বেপারী ও এপিসি জামান ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মো. বাচ্চু মিয়ার কাছে ভুয়া চিকিৎসক মুনিয়াকে হস্তান্তর করেছেন।
বাচ্চু মিয়া জানান, ভুয়া নারী চিকিৎসককে শাহবাগ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।